Love Story: প্রেমের জোয়ারে সেইনের জল মিশল গঙ্গায়, ভালবেসে প্যারিস থেকে পাণ্ডুয়ায় বিদেশিনী
Hoogly: কুন্তল জানালেন, এখনও সামাজিক নিয়ম মেনে বিয়ে হয়নি তাঁদের। লিভ-ইন করছেন তাঁরা।
হুগলি: বিদেশিনীর প্রেমে পড়া কি আর নতুন কিছু? সে কোন কাল থেকে সাদামাটা বাঙালি যুবকের সঙ্গে কোনও এক অচেনা অজানা মেমসাহেবের প্রেমের গপ্পো শোনা যায়। রবীন্দ্রনাথের কলমের সৌজন্যে সে প্রেম চির মূর্তমান বাঙালির কাছে। এবার এরকমই এক প্রেমের গল্প সত্যি করলেন প্যারিসের কন্যে আর হুগলির যুবক। হঠাৎ একদিন দিল্লি বিমানবন্দরে এসে পাণ্ডুয়ার কুন্তলকে ফোন প্যারিসের প্যাট্রিসিয়ার। চমকে দিয়ে বলেন, প্রেমের টানে তিনি ভারতে হাজির। এরপর সেখান থেকে কলকাতা। সে প্রেম এখন সুন্দর বাসা বেঁধেছে গঙ্গাপারের জেলায়। মুখের ভাষায় তাঁদের মিল নেই বটে, তবে মনের ভাষা হুবহু এক। সেই ভাল-ভাষাই (পড়ুন ভালবাসা) মিলিয়ে দিল সেইন পারের কন্যা আর গঙ্গাপারের ছেলেকে।
প্যারিসের প্যাট্রিসিয়া ব্যারোটার সঙ্গে পাণ্ডুয়ার সারদাপল্লির বাসিন্দা কুন্তল ভট্টাচার্যের পরিচয় একটি অনলাইন সাইটের মাধ্যমে। কুন্তল আগে চাকরি করতেন দিল্লিতে। এখন পাণ্ডুয়াতেই থাকেন, ব্যবসা করেন। কুন্তল বলেন, “পরিচয় আমাদের অনেকদিনের। একটা অনলাইন সাইটেই পরিচয়। কথাবার্তা শুরু, চ্যাটিং। তারপর যা হয়। ধীরে ধীরে ভিডিয়ো কলিং। এরপর সম্পর্কে এগোই আমরা। ওর একদিন মনে হল ভারতে আসবে। এ দেশটাও ঘুরে দেখবে। আমার সঙ্গে কিছুটা সময়ও কাটাবে। তারপরই ঠিক করল পাকাপাকিভাবে প্যারিস থেকে এখানে চলে আসবে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। একদিন প্যারিস থেকে বিমানে নতুন দিল্লি, সেখান থেকে ফের বিমানে কলকাতা।”
কুন্তল জানালেন, এখনও সামাজিক নিয়ম মেনে বিয়ে হয়নি তাঁদের। লিভ-ইন করছেন তাঁরা। কুন্তল বলেন, “সামাজিক বিয়ে হয়নি। তবে মনে মনে বিয়ে হয়ে গিয়েছে আমাদের।” পাণ্ডুয়ার এই যুবক জানান, তাঁকে রীতিমত চমকে গিয়ে গত ১৩ জুলাই দিল্লি আসেন প্যাট্রিসিয়া। বিমানবন্দর থেকে জানান, ভারতে এসেছেন। দিল্লি থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে হাওড়া, সেখান থেকে বাসে পাণ্ডুয়া। এক নতুন জীবন প্যাট্রিসিয়ার। মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না? কুন্তলের বক্তব্য, মনের মিল বলেই হয়ত সবটা মসৃণ। বিলিতি বউকে মেনে নিয়েছেন পাণ্ডুয়ার ভট্টাচার্য পরিবার। সেখানেই থাকছে প্যাট্রিসিয়া। তাঁর আদব কায়দা, চলন বলন, কথাবার্তা হা করে দেখেন বাড়ির লোকেরা। হয়ত ভাবেন, ভালবাসার এমন জোর! দু’টো দেশ, দুই সংস্কৃতি এমন মিলেমিশে গেল অনায়াসে।