West bengal Police: একসঙ্গে ৬টা বাচ্চা উধাও! তাদের খুঁজতে ‘আকাশ-পাতাল’ এক করে দিল পুলিশ

West bengal Police: পুলিশ জানিয়েছে, পথ ভুল করেই ওই ছয় শিশু বারুইপাড়া স্টেশনে চলে যায়। সেখান থেকে ট্রেনে উঠে নিশ্চিন্দা স্টেশনে গিয়ে নামে। সেখানে ঘোরাঘুরি করছিল তারা। এসডিপিও জানিয়েছেন,তিনটি পরিযায়ী পরিবারের ছয়টি শিশু নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

West bengal Police: একসঙ্গে ৬টা বাচ্চা উধাও! তাদের খুঁজতে আকাশ-পাতাল এক করে দিল পুলিশ
হারিয়ে গিয়েছিল এই ছ'টি বাচ্চাImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 24, 2025 | 7:34 PM

চণ্ডীতলা: বড় সাফল্য পেল চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। মন্দিরে খিচুরি খেতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ইটভাটার পরিযায়ী শ্রমিকদের ছয় শিশু। অভিযোগ পাওয়ার পরই ঝাঁপিয়ে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। আকাশ-পাতাল এক করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাওড়ার নিশ্চিন্দা থেকে তাদের উদ্ধার করল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে একটি ফোন মারফত খবর আসে চণ্ডীতলা থানায় গঙ্গাধরপুরের একটি ইটভাটার পরিযায়ী শ্রমিকদের ৬টি বাচ্চা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বয়স চার থেকে আট বছরের কাছাকাছি। ওই ছয় শিশু ইটভাটার কাছেই একটি মন্দিরে খিচুড়ি ভোগ খেতে গিয়েছিল। তারপর আর তারা আর ইটভাটায় ফেরেনি।

পরিযায়ী শ্রমিকরা কাছাকাছি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু শিশুদের সন্ধান পাননি। পরে ইটভাটার মালিক তারক কর্মকারকে বিষয়টি জানান সকলে। তারকবাবু দ্রুত চণ্ডীতলা থানায় ফোন করে শিশু নিখোঁজের ঘটনা জানান।

এসডিপিও তমাল সরকার বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ তৎপর হয়েছিল। তিনটি টিম তৈরি করে রেল স্টেশন হাসপাতাল জনবহুল এলাকায় খোঁজ চালাতে থাকে। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই পুলিশ জানতে পারে হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানা এলাকায় ওই শিশুদের দেখা গিয়েছে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।”

চণ্ডীতলা থানার ওসি অনিল রাজ শিশুদের চকলেট বিস্কুট মিস্টি খেতে দেন। নতুন জামা কিনে দেন। ইটভাটায় গাড়ি পাঠিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের থানায় নিয়ে আসেন।
সেখানেই শিশুদের তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, পথ ভুল করেই ওই ছয় শিশু বারুইপাড়া স্টেশনে চলে যায়। সেখান থেকে ট্রেনে উঠে নিশ্চিন্দা স্টেশনে গিয়ে নামে। সেখানে ঘোরাঘুরি করছিল তারা। এসডিপিও জানিয়েছেন,তিনটি পরিযায়ী পরিবারের ছয়টি শিশু নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। শিশুদের ফিরে পেয়ে খুশি পরিযায়ী পরিবারগুলি।

ইটভাটার মালিক তারক কর্মকার বলেন, “পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ। তারা খুব দ্রুত শিশুদের উদ্ধার করতে পেরেছে। ঘটনা জানার পর থেকেই আমার মানসিক চাপ বেড়ে গিয়েছিল। গত পাঁচ বছর ধরে ঝাড়খন্ড থেকে এই পরিযায়ী শ্রমিকরা ইটভাটায় কাজ করতে আসে। যখন ইটভাটার কাজ বন্ধ থাকে তখন তারা বাড়ি ফিরে যায়।”