
কোন্নগর: তিনি মহিলা। কিন্তু, অ্যাডমিট কার্ডে হয়ে গেলেন পুরুষ। তাই, ঢুকতে দেওয়া হল না পরীক্ষাকেন্দ্রে। ফলে রাজ্য পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় বসা হল না নৈহাটির রিচা কুমারী ঝার। তাঁর দাবি, অ্যাডমিট কার্ডে ভুল দেখার পর সংশোধনের জন্য মেইল পাঠিয়েছিলেন। তাতে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরীক্ষায় বসতে না পেরে হতাশ তিনি।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। হুগলির কোন্নগর নবগ্রাম বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে মোট ৩৫২ জনের সিট পড়েছিল। সেখানেই পরীক্ষা দিতে আসেন নৈহাটির হাজিনগরের বাসিন্দা রিচা কুমারী ঝা। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করার সময় অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষা করেন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা পরীক্ষকরা।দেখা যায়, অ্যাডমিট কার্ডে জেন্ডারে মহিলার জায়গায় লেখা রয়েছে পুরুষ (male)।একজন মহিলার অ্যাডমিট কার্ডে পুরুষ লেখা থাকার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি যুবতীকে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পেরে হতাশ রিচা। তিনি বলেন, অ্যাডমিট কার্ড হাতে পাওয়ার পরই এই ভুল নজরে পড়ে তাঁর। এরপরই তিনি মেইল করেছিলেন সংশ্লিষ্ট জায়গায়। তবে সেই মেইলের কোনও উত্তর পাননি। তাঁর দাবি, ফর্ম পূরণের সময় তিনি জেন্ডারে ফিমেল-ই লিখেছিলেন।
পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পেরে বেশ কিছু সময় বসে থাকেন রিচা। বলেন, “চাকরির পরীক্ষার সুযোগ কম। যে পরীক্ষাকেন্দ্রে সিট পড়েছিল, সেখানে সবাই পুরুষ পরীক্ষার্থী। আমাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল না।”
ঘটনাটি নিয়ে টুলটুল দে নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “সকাল থেকেই আমরা পরীক্ষাকেন্দ্রে রয়েছি। যারা পুলিশে নিয়োগের পরীক্ষা দিতে এসেছে, তাদের সহযোগিতা করার জন্য। এর মধ্যেই আমরা দেখি একটি মেয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে।তার অ্যাডমিট কার্ডে জেন্ডার-র জায়গায় মেল লেখা আছে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে পরীক্ষা দিতে এসেছিল মেয়েটি। যেকোনও কারণেই হোক একটা ভুলের জন্য সে পরীক্ষা দিতে পারেনি। আলাদা পরীক্ষা ব্যবস্থা করা যেত। কিন্তু সেরকম কিছুই করা হয়নি। পরীক্ষার যে উত্তরপত্র সেটা তো পরে দেওয়া হবে। তখন সেই ভুল সংশোধন করে নেওয়া যেত। কিন্তু মেয়েটা পরীক্ষাই দিতে পারল না।”