তারকেশ্বর: বিয়ে হয়েছে। অভিযোগ, তারপরও দু’জন বয়ফেন্ড মহিলার। কিন্তু পরিণতি মোটেই ভাল হল না। এক প্রেমিককে ঘরে ডেকে ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তে জানলা দিয়ে হাকডাক আরও এক প্রেমিকের। আর দরজা খুলতেই এক প্রেমিকের বঁটির কোপে জখম অপর প্রেমিক। তাঁকে উদ্ধার করে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে তারকেশ্বর থানার পুলিশ।
এ যেন ‘এক ফুল দো মালি’কেস…
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ছ’মাস আগে ছ’মাস আগে দশঘড়ার বাসিন্দা অজয় আদকের সঙ্গে আলাপ হয় তারকেশ্বর মুক্তারপুর আমতলা এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা সামন্তর। জানা গিয়েছে, সুস্মিতা বিবাহিত। তবে সুস্মিতা ও অজয়ের মধ্যে যত দিন যায় ঘনিষ্ঠতা ততটাই বেড়ে যায়। অজয়ের দাবি, আজ ওই মহিলা ফোনে ফাঁকা বাড়িতে তাঁকে ডাকেন। প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে তিনিও সেখানে পৌঁছে যান।
তবে সমস্যা হল অন্য জায়গায়। অজয় নাকি জানতেন ন’বছর ধরে সুস্মিতা আরও একটি পরকীয়ার সম্পর্কে ছিলেন। তাঁর নাম সমীর মালিক। বাড়ি হরিপালের সিরাজপুর এলাকায়। এরপর আজ অজয় বাড়ি যেতেই মহিলাকে জানালা দিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন সমীর। দরজা খুলতেই অভিযোগ, হাতের সামনে থাকা বোঁটি দিয়ে অজয়ের মাথায় আঘাত করতে থাকে সমীর। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়। মহিলার স্বামীও চলে আসেন। খবর দেওয়া হয় তারকেশ্বর থানায়।
তবে ঘটনার পর পালায় সমীর। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ। মহিলার স্বামী প্রদীপ সামন্ত বলেন, “আমি বাড়িতে থাকি না। তাঁকে চিনি না। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন বাড়িতে নিয়ে এলাম হাসপাতালে।” প্রেমিক অজয় আদক বলেন, “সুস্মিতা ডেকেছিল আমায়। ঘরের ভিতরে খিল দেওয়া ছিল। বাড়িতে দু’জন ছিলাম। তারপর ওর আর এক প্রেমিক এসে আমায় মারধর করেছে বঁটি দিয়ে।”