Migrant Worker: ‘৫ হাজার টাকায় সংসার কী করে চলবে! পেটের দায়ে বাইরে যেতেই হবে’, বলছেন বাংলার পরিযায়ীরা

Migrant Worker: মালদহের কালিয়াচকের জালালপুরের বাসিন্দা আমির শেখ। রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে ধরা পড়ে। পরে তাঁকে বিএসএফ এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিএসএফ এই রাজ্যে ফেরত এনে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে তাঁকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে।

Migrant Worker: ‘৫ হাজার টাকায় সংসার কী করে চলবে! পেটের দায়ে বাইরে যেতেই হবে’, বলছেন বাংলার পরিযায়ীরা
কী বলছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা? Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 19, 2025 | 1:45 PM

শুভতোষ ভট্টাচার্য ও অসীম বেরার রিপোর্ট

মালদহ ও মেদিনীপুর: রাজ্যে রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার অভিযোগের মধ্যেই সোমবারই বড় ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় ফিরলেই মিলবে ভাতা। নয়া এই উদ্যোগের নাম ‘শ্রমশ্রী’। প্রথমে বাংলায় ফিরে এলে এককালীন পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এরপর এক বছর ধরে মাসে মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। মমতার এ ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। পরিযায়ীদের অনেকেই বলছেন মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পাঁচ হাজার টাকায় কিছুই হবে না। তিন বেলা খাবার জোটাতে ভিন রাজ্যে যেতেই হবে। কারণ ওই টাকায় সংসার চলবে না। ভয় থাকলেও যেতে বাধ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা। 

মালদহের কালিয়াচকের জালালপুরের বাসিন্দা আমির শেখ। রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে ধরা পড়ে। পরে তাঁকে বিএসএফ এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিএসএফ এই রাজ্যে ফেরত এনে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে তাঁকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে। শেষে দক্ষিণ মালদহের সাংসদ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএসএফের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনে। আমির বলছেন, “আমরা তো গরিব মানুষ। কাজে তো যেতেই হবে। কাজে না গেলে কী করে খাব!” তাঁর স্পষ্ট কথা ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনওভাবেই সংসার চলবে না। তিনি বলছেন, ৫ হাজার টাকায় চলবে না। চাকরি দরকার। 

একই সুর ঘাটালের পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারগুলির। একজন বলছেন, ৫ হাজার টাকায় কী আর সংসার চলবে। তবে সরকার কাজ দিলে, সাহায্য করলে ভাল হবে। বিশ্বনাথ খামরুই নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক বলছেন, “উদ্যোগ ভাল, কিন্তু টাকার অঙ্কটা আর একটু বাড়ালে ভাল হত। কারণ অবস্থা খুবই খারাপ। এখন ৫ হাজার টাকায় কী করে সংসার চলবে? এখানেও তো কোনও কাজ নেই। আমি একটা চায়ের দোকান করে বসে আছি।”