
ভারতীয় রেল বললেই এতদিন মাথায় আসত নোংরা বগি, দুর্গন্ধময় শৌচাগার, দীর্ঘ বিলম্বের মতো বিষয়। তবে, ভারতীয় রেল সম্পর্কে এই সকল ধারণা বদলে দিচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শুক্রবার, হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা শুরু করল পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

সবথেকে বড় পরিবর্তন সম্ভবত বন্দে ভারত ট্রেনের শৌচাগারেই দেখা যাচ্ছে। শৌচাগারের দরজা থেকেই আছে এই বদলের ছোঁয়া। দরজার বাইরে একটি লাল আলো লাগানো আছে। শৌচাগারে লোক থাকলে, সেই লাল আলো দিয়ে তার সঙ্কেত দেওয়া হবে।

আগের মতোই ভারতীয় এবং পশ্চিমী - দুই শৈলীর শৌচাগারই রয়েছে। পশ্চিমী শৈলীর শৌচাগারে কমোডের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে হ্যান্ড শাওয়ার, টয়লেট পেপার ইত্যাদি।

বন্দে ভারত ট্রেনের শৌচাগারে থাকছে সোপ ডিস্পেন্সারও। হ্যান্ড ড্রায়ারের মতো অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাও। অন্যান্য ট্রেনের শৌচাগার যেখানে হয় দুর্গন্ধময়, সেখানে বন্দে ভারত ট্রেনের শৌচাগার থেকে বের হয় গোলাপের গন্ধ।

অন্যান্য ট্রেনের হাত-মুখ ধোওয়ার বেসিন মানেই দাগওয়ালা নোংরা একটি বেসিনের ছবি আমাদের চোখে ভাসে। কিন্তু, বন্দে ভারত ট্রেনের বেসিন একেবারে ঝকঝকে এবং একেবারে আধুনিক নকশায় তৈরি।

দুটি বগির মাঝে রয়েছে সেন্সর ডোরও।

ট্রেনের প্যান্ট্রিতে খাবার এবং পানীয় গরম এবং ঠান্ডা করার জন্য উন্নত মানের Hote case এবং Deep Freezer রয়েছে। যাতে খাবার সমানভাবে গরম এবং পানীয় প্রয়োজন অনুযায়ী ঠান্ডা হয়।।