Child death: আর ছোঁ-বে না কাউকে, ‘কানামাছি’ হয়েই চলে গেল ছোট্ট অনীশ
কানামাছি খেলতে-খেলতেই চোখে রুমাল বাঁধা থাকায় দেখতে না পেয়ে ছাদের নীচু পাঁচিল টপকে নীচে পড়ে যায় অনিশ। ছাদে কার্নিস থাকায় সেটায় ধাক্কা খেতে খেতে নীচে পড়ে।
হাওড়া: পাঁচতলা বাড়ির ছাদে কানামাছি খেলতে-খেলতে অসাবধানতাবশত নীচে পড়ে গিয়েছিল হাওড়া (Howrah) পিলখানার ৯ বছরের অনীশ কুমার। স্থানীয় যুবকেরা ঘটনাটি দেখা মাত্রই অনীশকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অনীশের চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু, দেড় দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হার মানল সে। আর বাড়ি ফেরা হল না ছোট্ট অনীশের। খবর পেয়েই বালকটির বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) গৌতম চৌধুরী (Gautam Chowdhury)।
হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনীশ কুমারকে (৯)। ক্রমে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সোমবারই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীনই সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, অনীশের দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। তারপর হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যু হয় বালকটির।
এদিকে, সোমবার রাতে অনীশের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার তার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অনেক উঁচু থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেই মৃত্যু হয়েছে বালকটির। এদিন রাতে মৃত বালকের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ান উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। তবে এই ঘটনায় পরিবারের লোকেরও কিছু গাফিলতি রয়েছে। রাতের বেলা চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি বালককে ওভাবে নীচু পাঁচিলের ছাদে খেলতে দেওয়া উচিত হয়নি। চিকিৎসকরা সবরকমভাবেই বালকটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিলখানার ফকিরবাগান এলাকার একটি বহুতলের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অনীশ কুমার। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই বহুতলের ছাদে আত্মীয় ও প্রতিবেশী অন্য বালকদের সঙ্গে চোখে রুমাল বেঁধে কানামাছি খেলছিল অনীশ। খেলতে-খেলতেই চোখে রুমাল বাঁধা থাকায় দেখতে না পেয়ে ছাদের নীচু পাঁচিল টপকে নীচে পড়ে যায় সে। ছাদে কার্নিস থাকায় সেটায় ধাক্কা খেতে খেতে নীচে পড়ে। বালকটি যখন পাঁচতলার উপর থেকে পড়ে তখন রাস্তার ধারে বসে আড্ডা মারছিলেন স্থানীয় যুবকরা। তাঁরাই তড়িঘড়ি বালকটিকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে ওই বালকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে তার মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ পরিবার থেকে প্রতিবেশী। বহুতলটির ছাদ দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।