শালিমার : থানার লকআপ। তালাবন্ধ। বাইরে পুলিশি প্রহরাও রয়েছে। সজাগ নজরদারি। মাছি গলার উপায় থাকার কথা নয় সেখানে। কিন্তু এর মধ্যেই থানার লকআপের তালা ভেঙে পালাল (Escaped from lockup) দুই অভিযুক্ত। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়ার শালিমার জিআরপিতে (Shalimar GRP)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, ১৭ অগস্ট শিবম হাঁড়ি নামে এক কিশোরকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তারই দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার জড়িত সন্দেহে রাজু হাঁড়ি এবং শামিরুল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছিল শালিমার জিআরপি। আদালতেও পেশ করা হয়েছিল অভিযুক্তদের। হাওড়া আদালতের বিচারক অভিযুক্ত দুই বন্দুকে চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে জিআরপি থানার লকআপের তালা ভেঙে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া আদালত থেকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশের পর রাজু ও শামিরুলকে নিজেদের লকআপে রেখে জেরা করছিলেন শালিমার জিআরপি থানার পুলিশকর্মীরা। সূত্রের খবর, রবিবার ভোরে দেখা যায় লকআপের গেটের তালা ভাঙা। ভিতরে যে দুই অভিযুক্ত ছিল, তারাও পালিয়ে গিয়েছে। রেল পুলিশের লকআপ থেকে অভিযুক্তদের তালা ভেঙে পালানোর খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। পুলিশি প্রহরা থাকার পরেও কীভাবে ওই দুই অভিযুক্ত লকআপের তালা ভেঙে পালিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
এদিকে মৃত কিশোরের বাবার কৃষ্ণ হাঁড়ি অভিযুক্তদের তালা ভেঙে পালানোর ঘটনায় সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন পুলিশি ব্যর্থতার। শালিমার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের বিরুদ্ধে যাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই দাবি তুলেছেন তিনি। এদিকে লকআপ ভেঙে পালানো দুই অভিযুক্ত রাজু হাঁড়ি এবং শামিরুল মোল্লারও খোঁজ শুরু করেছে জিআরপি। জায়গায় জায়গায় রেল পুলিশের তরফে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। হাওড়ার সব ক’টি থানাকেও ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সর্তক করা হয়েছে বলে খবর।