আমতা: আক্রান্ত আনিস খানের ভাই সলমন খান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। শুক্রবার রাতেই তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালে সলমনের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু, বিপদের সময় পুলিশ আসেনি। এমনটাই বলছেন সলমনের স্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, পুলিশের ওপর তাঁদের আর কোনও ভরসা নেই। শুধু তাই নয়, রাতে পুলিশের কাছে সাহায্য চাওয়া হলে, কেউ এগিয়ে আসেনি বলেও অভিযোগ। অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত চাইছেন তাঁরা।
শনিবার সকাল থেকে আমতা থানা এলাকার ওই অঞ্চলে থমথমে পরিস্থিতি। শুক্রবার মধ্যরাতে ওই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, সলমনের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই আনিসের বাড়ি। রাত তখন প্রায় আড়াইটা। সলমনের ওপর হামলার পর খবর আসে আনিসের বাড়িতে। সেই খবর পেয়ে আনিসের বাড়ির দুই মহিলা সদস্য বাইরে মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীদের অনুরোধ করেন, তাঁদের সলমনের বাড়িতে পৌঁছে দিতে। আনিসের ভাগ্নির অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের সাফ জানিয়ে দেয়, এটা তাদের কর্তব্য নয়। আনিসের মৃত্যুর পরও পুলিশের গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার আনিসের ভাই তথা আনিস-মামলাক মূল সাক্ষীর ওপর হামলার ঘটনায় উঠল একই অভিযোগ।
সলমনের স্ত্রী জানান, শুক্রবার কলকাতা থেকে রাতে বাড়িতে ফেরেন তাঁর স্বামী। বাড়ি আসার পর ভাত বাড়তে বলে বাইরে যান তিনি। সঙ্গে যান তাঁর স্ত্রীও। স্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি বাথরুমে ঢুকেছিলেন। এরপর বেরিয়ে দেখেন তাঁর স্বামী অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলের লোকজনই এই হামলা চালিয়েছে। একজন ছুটে পালিয়ে যেতে দেখেছিলেন তিনি, তবে চিনতে পারেননি।
এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, আনিসের পরিবারের ওপর আগেও হামলা হয়েছে। আনিসের দাদা সাবির খানকে দেওয়া হয়েছিল খুনের হুমকি। তাঁর দাবি, আগেও আমতা থানা এফআইআর নিতে চায়নি, এবারও নিতে চাইছে না। সরকার ও পুলিশ দুষ্কৃীতের আড়াল করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সলমনের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে চলেছে ডিওয়াইএফআই। শনিবার বিকেলে ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব সলমনকে দেখতে যাবেন উলুবেড়িয়া হাসপাতালে। তারপর আমতা থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে। এ ছাড়া এসএফআই রাজ্য কমিটির তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে রবিবার।