Belgachia: এলাকায় ঢুকতেই শুভেন্দুকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, তপ্ত বেলগাছিয়া
Belgachia: ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাগাড়ের ঠিক পিছনে ঝিলের ধারের ১৫ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। চার দিন পর সোমবার সকালে সেখানে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি ৩ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বেলগাছিয়া: পুরমন্ত্রীর পর বেলগাছিয়ায় বিপন্নদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু শুভেন্দু পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। শুভেন্দু এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু এলাকার ভিতরে ঢুকতে গেলেই ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। পুলিশকর্মীরা শুভেন্দুকে ঘিরে ধরেন। ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান এক বিজেপি নেতা।
শুভেন্দু অভিযোগ করতে থাকেন, গোলাম মুস্তার্জা নামে এক এসআই তাঁর হাতে আঘাত করেন। হাত থেকে রক্ত বেরিয়ে যায় বলেও দেখাতে থাকেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “আমি কি বাড়ি থেকে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে এসেছি? আপনি মারলেন কেন? সাধারণ লোককে নিরাপত্তা দিতে পারেন না। আপনি আটকাবেন না কেন?” পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়, “স্যর, ওদিকে কিছু নেই।” বিজেপির তরফ থেকে হায় হায় স্লোগান দেওয়া শুরু হয়।
ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাগাড়ের ঠিক পিছনে ঝিলের ধারের ১৫ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। চার দিন পর সোমবার সকালে সেখানে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি ৩ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “তিন চার দিন সময় লাগবে। আমরা বিকল্প কোথাও একটা ব্যবস্থা করছি। পৌরসভা চিরকালই ঘর করে দিচ্ছে। এই টাকা তো কেন্দ্র দিচ্ছে না। নিজেদের ফান্ড দিয়েই করছে। ওদেরও ঘর করে দেব। কিন্তু ওখানকার মাটিটাই ভারসাম্য ধরে রাখতে পারছে না। তাই অন্য কিছু একটা চিন্তা করতে হবে। আজ অফিসে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, খোলা জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে।”পুরমন্ত্রী ফেরার ঘণ্টা দেড়েক পর সেই এলাকায় যান শুভেন্দু। ‘ডেডলাইন’ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘তিন দিনের মধ্যে কিচ্ছু হবে না।’ এরপর এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলতে এগোতে চান শুভেন্দু। তখনই পুলিশ তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ।





