হাওড়া: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ লোহার কারখানায়। বেলুড়ের অগ্রসেন স্ট্রিটের ছাঁট লোহা কাটাইয়ের কারখানায় ভয়ঙ্কর রকমের বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় জখম হন চার কর্মী।স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে আহতদের উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তবে তাদের মধ্যে এক মহিলা সহ দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে স্থানান্তরিত করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই দু’জনের নাম পিন্টু রাম ও রেণু দেবী। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেলুড় থানার পুলিশ। গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা।
সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, অন্যদিনের মতই অগ্রসেন স্ট্রিটের ওই লোহা কারখানায় কাজ করছিলেন চারজন শ্রমিক। সেখানেই ছাঁট লোহা কেটে স্ক্র্যাপ তৈরির কাজ চলছিল। হঠাৎই একটি ধাতব বস্তুর উপর হাতুড়ি মারতেই সশব্দে সেটি ফেটে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় দু’জন কর্মী হাতে, মুখে ও দু’পায়ে গুরুতর চোট লাগে। তাঁদের দেহের একাধিক স্থানে আঘাতের ফলে প্রচণ্ড রক্তপাত হতে থাকে।
আহত অবস্থায় দু’জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান ঘটনাস্থলেই। এছাড়াও বাকি যে দু’জনও চোট জখম হন। ভর দুপুরে বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকার প্রচুর মানুষজন। তারাই আহতদের উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় আহতদের।
এদিকে, গুরুতর আহত দুজন ছাড়াও বাকি যে দু’জনের আঘাত লেগেছিল তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা। দু’জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখে তারা। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভেবে মনে করা হচ্ছে ছাঁট লোহার মধ্যে কোনও ছোট গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। তার উপর আচমকা হাতুড়ি মারায় সেটি ফেটে গিয়েছে। আমরা তবুও খতিয়ে দেখছে বিষয়টি। প্রয়োজনে ফরেন্সিক টিম ডাকা হতে পারে।’
প্রাথমিকভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ঘটনাটি ঘটেছে অনুমান করা হলেও কৌটো বোমা বা অন্য কোনও বিস্ফোরক ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর কৈলাশ মিশ্র বলেন, ‘আমি স্থানীদের কাছেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। স্ক্রাপের মধ্যে কিছু ফেটেছে। তবে ঘটনাস্থলের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা রক্ত দেখে বিস্ফোরণের যথেষ্ট তীব্রতা ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।’