Mangala Haat Closed: ‘সরকার গুলি করুক, কিন্তু হাট যেন বন্ধ না হয়!’ করুণ আর্তি মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের
Howrah: সংক্রমণ রুখতে আগামী রবি, সোম ও মঙ্গলবার মঙ্গলাহাট বন্ধের সিদ্ধান্তের নেয় জেলা প্রশাসন। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
হাওড়া: রাজ্যে হু-হু করে বেড়েছে সংক্রমণ। লাগাম ছাড়া সেই সংক্রমণ রোধে মঙ্গলা হাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু সেই হাট বন্ধের প্রতিবাদে জাতীয়সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ। তবে ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাদের সমস্ত অভাব অভিযোগ শুনতে প্রস্তুত প্রশাসন।
করোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী রবি, সোম ও মঙ্গলবার হাওড়া ময়দানে মঙ্গলাহাট বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায় জেলা প্রশাসন। এবার এরই প্রতিবাদে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বিক্ষোভ ও অবরোধ করলেন হাট ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার তাঁদের গুলি করে মেরে দিক। কিন্তু তাঁরা হাট বন্ধ থাকা মানতে পারছেন না। তাঁদের দাবি, সরকার তিন দিন বন্ধ না রেখে অন্তত একদিন হাট খোলা রাখুক। তাহলে মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচবেন।
শুক্রবার দুপুরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গড়পা খেজুরতলার কাছে মঙ্গলাহাটের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করেন। ফলে কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। প্রায় মিনিট পনেরো পর জগাছা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। শেখ হালিম আলি নামে এক বিক্ষোভকারী জানালেন, যখন রাজ্যে অন্যান্য হাটগুলি খোলা তখন মঙ্গলাহাট বন্ধ করা হল কেন?
বিগত লকডাউনে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ফের হাট বন্ধ হলে তাঁরা আর আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে পারবেন না। তাই এদিন তিনি দাবি করেন, ব্যবসায়ীদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে হাট একদিনও বন্ধ না রেখে জেলা প্রশাসন খুলে দিক। ব্যবসায়ীরা করোনা বিধি মেনেই হাট চালাবেন। মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠন হাট ব্যবসায়ী সমিতির তরফে এদিন এই বিক্ষোভ অবরোধ করা হয়।
এদিকে ব্যবসায়ীদের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানালেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য হাট বন্ধ করে দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রতি সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি দেখে মঙ্গলাহাট বন্ধ থাকবে না খোলা রাখা হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া অন্য হাটের সঙ্গে মঙ্গলাহাটকে গুলিয়ে ফেললে হবে না। কারণ মঙ্গলাহাট যেখানে বসে সেই হাওড়া ময়দান চত্বরে রয়েছে হাওড়া হাসপাতাল, পুরসভা, থানা, জেলাশাসকের দফতর, পুলিশ কমিশনারের দফতরের মতো প্রচুর সরকারি দফতর। যেখানে নিত্যদিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। তাই এই এলাকায় হাটের ভিড়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে আগামী সোমবার মঙ্গলাহাটের সমস্ত ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে বৈঠক করা হবে বলেও এদিন জানান মুখ্য প্রশাসক।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ যখন বাড়ছে সেইসময় হাওড়া ময়দান চত্বরে মঙ্গলাহাটে বেচাকেনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল জেলা প্রশাসনের। আর তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবারই মঙ্গলাহাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এদিন সেই নির্দেশেরই প্রতিবাদে সরব হন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: South Dumdum Municipality: করোনায় লাগাম টানতে সপ্তাহে তিন দিন বন্ধ দক্ষিণ দমদমের সব বাজার