AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shweta Khan case: মেয়েকে রেখেই গা ঢাকা শ্বেতার, শিশুকন্যার খোঁজ পেল পুলিশ

Shweta Khan case: তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আরিয়ান ছাড়াও শ্বেতার আরও দুই কন্যা রয়েছে। আরিয়ান তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তান। মহম্মদ সৈয়দ মোরসেলিম নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। আরিয়ান ছাড়াও ইশিকা খান নামে এক কন্যা ছিল প্রথম পক্ষে। কয়েক বছর আগে ইশিকা আত্মহত্যা করে।

Shweta Khan case: মেয়েকে রেখেই গা ঢাকা শ্বেতার, শিশুকন্যার খোঁজ পেল পুলিশ
শ্বেতা খান Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2025 | 1:14 PM

বাঁকড়া: দেহব্যবসা ও পর্নভিডিয়ো কাণ্ডে অভিযুক্ত শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান খান বেপাত্তা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এরই মধ্যে শ্বেতা খানের শিশুকন্যার খোঁজ পেল পুলিশ। বছর চারেকের ওই শিশুকন্যাকে টালিগঞ্জ থানা এলাকায় শ্বেতার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে উদ্ধার করল ডোমজুড় থানার পুলিশ। এদিকে, বুধবার শ্বেতার মাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

পানিহাটির এক যুবতীকে নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকে শ্বেতা ও আরিয়ানের একের পর এক কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসছে। তখনই জানা যায়, বাঁকড়ায় শ্বেতাদের ফ্ল্যাটে পর্ন ভিডিয়োর শ্যুট হত। পানিহাটির ওই যুবতীকে এই ফ্ল্যাটে আটকে রেখে দিনের পর দিন নির্যাতন করা হয়। কোনওরকমে ওই সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফেরেন। তাঁর কাছ থেকেই জানা যায়, শ্বেতার এক শিশুকন্যা রয়েছে। ওই শিশুকন্যাকে দেখভালের জন্য পানিহাটির নির্যাতিতাকে কুলু মানালিতে নিয়ে গিয়েছিলেন শ্বেতা। সেখানেই শ্বেতার মারে নির্যাতিতার মাথা ফেটেছিল।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আরিয়ান ছাড়াও শ্বেতার আরও দুই কন্যা রয়েছে। আরিয়ান তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তান। মহম্মদ সৈয়দ মোরসেলিম নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। আরিয়ান ছাড়াও ইশিকা খান নামে এক কন্যা ছিল প্রথম পক্ষে। কয়েক বছর আগে ইশিকা আত্মহত্যা করে। মোরসেলিম জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে বাঁকড়ার বাড়ি ছেড়ে হুগলির ফুরফুরা শরিফে চলে যান তিনি। শ্বেতার সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

এই খবরটিও পড়ুন

এরপর শ্বেতার আরও দুটি কন্যাসন্তান হয়। তবে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুটি কন্যাসন্তানের মধ্যে ছোট মেয়েকে আত্মীয়র বাড়িতে রেখে শ্বেতা ও আরিয়ান গা ঢাকা দিয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। সেই শিশুকন্যাকেই শ্বেতার আত্নীয়র বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত ডোমজুড় থানার চাইল্ড হেল্প সেলে তাকে রাখা হয়েছে। শ্বেতার আর এক কন্যা কোথায় রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, শ্বেতার খোঁজ পেতে এদিন তাঁর মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।