হাওড়া: কলকাতার পুরভোট হয়ে গিয়েছে, বাকি সব পুরনিগম ও পুরসভাগুলিরও ভোট পর্ব মিটেছে। কিন্তু হাওড়ার ভোট এখনও ঝুলে রয়েছে। হাওড়া পুরসভায় ভোট না হওয়ার জন্য এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেই দায়ী করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এমনকী রাজ্যপালের নাম না করে তাঁকে ‘দাদু’ বলেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রবিবার উত্তর হাওড়ায় তৃণমূলের একটি কর্মিসভায় গিয়েছিলেন ফিরহাদ। সেখানে মন্ত্রী বলেন, “ওই দাদু-র জন্যই হাওড়া পুরসভার ভোট আটকে রয়েছে। না হলে কলকাতা পুরনিগমের সঙ্গেই হাওড়া পুরনিগমের ভোট হয়ে যেতে। রাজ্যপাল হাওড়া ও বালি পুরসভাকে আলাদা করা নিয়ে রাজ্য সরকারের ফাইলটি আটকে রেখেছেন বলেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।” তবে খুব শীঘ্রই এর সমাধান হবে বলে আশাবাদী তিনি।
এই প্রসঙ্গে রবিবার ফিরহাদ বলেন, “রাজ্যপাল ফাইলটিতে যাতে সই করেন সেই জন্য আমি তাঁর কাছে এর আগে দুই থেকে তিন বার গিয়েছি। এখন আবার আমাকে ডেকেছেন উনি। এবার আমি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করে ওঁনার কাছে যাবে। এবার রাজ্যপালের কাছে গেলে হয়তে উনি ফাইলটি সই করে ছেড়ে দেবেন। কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।” পাশাপাশি উত্তর হাওড়ায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ফিরহাদ বলেন, “হাওড়া পুরসভায় যা কাজ হয়েছে তাতে এখানে এমনিতেই তৃণমূল জিতে যাবে।” কিন্তু তৃণমূলের মূল লক্ষ্য যে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন এদিন বুথ ভিত্তিক সম্মেলনে কর্মীদের কাছে তা স্পষ্ট করে দেন ফিরহাদ। বললেন, “২০২৪ সালেও এও খেলা হবে। এই যে ১৮টা সিট ওরা (বিজেপি) পেয়েছে, এবার ১ টা সিটও ওরা আর বাংলা থেকে পাবে না। তৃণমূল এগিয়ে যাবে। এখানে মানুষ কী চাইছে, তার একটা রিপোর্ট তৈরি করে নেত্রীকে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী ২০২৪-এ ভোটের ময়দানে লড়াই করেবে তৃণমূল।
এদিকে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা উত্তর হাওড়ার নেতা উমেশ রাই পাল্টা ফিরহাদকে পাল্টা দিয়ে বলেন, “মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে রাজ্যপাল তাঁর দাদু হতেই পারেন। কিন্তু রাজ্যপাল একটি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন এটা ওঁনার মাথায় রাখা উচিত।” এদিন উমেশ আরও বলেন,”হাওড়াতে সাড়ে তিন বছর যে ভোট হয়নি তার জন্য দায়ী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বালিকে হাওড়া থেকে আলাদা করে একটা সাংবিধানিক সংকট তৈরি করেছেন মন্ত্রী নিজে। সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন হাওড়ার বাসিন্দারা। এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী মন্ত্রী।”