হাওড়া: ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে বিপর্যয়। গ্যাস সিলিন্ডার চেকিংয়ের সময়ে আগুন লেগে বিপর্যয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন জন। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুর থানার অন্তর্গত ডিমঙ্গল ঘাট বেনিয়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণচন্দ্র কুইল্যা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে সমস্যা হয়। রান্নার সময়ে গ্যাস বেরোতে থাকে। সে সময়ে গ্যাসের ডেলিভারি বয়কে ফোন করেছিলেন লক্ষ্মণচন্দ্র। ডেলিভারি বয় তরুণ বর তাঁর বাড়িতে আসেন। তিনি চেকিং করার সময়ে দেখেন, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। ডেলিভারি বয় তরুণ গ্যাস ওভেন রিপেয়ারিং করতে শুরু করেন।
গ্যাস রিপিয়ারিংয়ের পরেই যখন গ্যাস চেকিং শুরু করে । সেই সময় গ্যাস থেকে আগুন লেগে যায় । ডেলিভারি বয়-সহ দুজন অগ্নিদগ্ধ হন। তিন জন মারাত্মকভাবে জখম হন। প্রথমে শ্যামপুরের ঝুমঝুমি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিন জনেরই শারীরিক অবনতি হওয়ায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তিনজনই উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উলুবেড়িয়ায় মারাত্মক একটি দুর্ঘটনা ঘটে। উলুবেড়িয়ার অশোক মণ্ডলের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আহন হন ১১ জন। বাড়ির দুই শিশুও আহত হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক মণ্ডলের বাড়িতে সিলিন্ডার দিতে এসেছিলেন ডেলিভারি বয়। তাঁকে গ্যাস চেকিং করার কথা বললে, তিনি বলে গিয়েছিলেন মিস্ত্রি এসে করবেন। ডেলিভারি বয় চলে যান। তারপর আচমকাই গ্যাস লিক করে আগুন লেগে যায়। গোটা বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। বাড়ির ভিতরেই আটকে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। তাঁরাই জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় ১১ জন মারাত্মক আহত হন। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই আবারও গ্যাস সিলিন্ডার বিপর্যয়।