Howrah Rama Navami: হাতে তলোয়ার, সঙ্গে জয় শ্রীরাম ধ্বনি ! সকাল থেকেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় রাম নবমী পালন বিজেপির
Howrah: রবিবার সকালে হাওড়ার শ্যামাশ্রী সিনেমা হলের সামনে থেকে রামরাজাতলা পর্যন্ত রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করে বিজেপি।
হাওড়া: রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রামনবমী। মহা ধূমধামের সঙ্গে গেরুয়া শিবির রাম নবমী পালন করছে। জেলায়-জেলায় ইতিমধ্যে শোভাযাত্রা বের করেছে বিজেপি। রবিবার সকালে হাওড়ার শ্যামাশ্রী সিনেমা হলের সামনে থেকে রামরাজাতলা পর্যন্ত রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করে বিজেপি। হাতে তলোয়ার নিয়ে মিছিলে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বিজেপি নেতা উমেশ রায়।
সূত্রের খবর, রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ মিছিলটি বের হয়। ধর্মীয় পতাকার পাশাপাশি অস্ত্র হাতে বিজেপির এই নেতাকে এই সুসজ্জিত শোভা যাত্রায় পা মেলাতে দেখতে পাওয়া যায়। একাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পাশপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু ধর্মীয় মানুষজন। কড়া পুলিশি প্রহরায় এই মিছিল শুরু হয়। গোটা রাস্তায় ডিজে বক্সে ধর্মীয় সংগীত বাজানোর পাশাপাশি জয় শ্রীরাম ধ্বনিও দেওয়া হয়।
বস্তুত, আজ রামনবমী উপলক্ষে সারাদিন ব্যাপী হাওড়ার সদর অঞ্চল জুড়ে একাধিক শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষে। এই প্রথম নয়, প্রতিবছরই এই দিনটিতে বিজেপির শোভাযাত্রা বের হয়। এর আগে গতকাল রামনবমী উপলক্ষ্যে সাঁকরাইলে অস্ত্র হাতে বের হয় বিশাল মিছিল। রাজগঞ্জ থেকে মানিকপুর পর্যন্ত মিছিলটি যায়। স্থানীয় একটি সংঘের পক্ষ থেকে মিছিলটি আয়োজন করা হয়েছিল বলেই খবর মিলেছে। মিছিলটিতে অংশ নেয় প্রচুর মানুষ। গতকালের ওই মিছিল ছিল সশস্ত্র। এলাকায় মোতায়েন করা ছিল প্রচুর পুলিশ বাহিনী।
এর আগে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করায় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তাবড়-তাবড় বিজেপি নেতা। ২০১৮ সালে হাতে ত্রিশূল নিয়ে শোভাযাত্রায় পা মেলানোর কারণে বিজেপি নেতা সমীর সাহা এবং লাল্টু ঘোষের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজুও করে পুলিশ। একা লকেট নন, বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও প্রকাশ্য জমায়েতে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করার করার কারণে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা উমেশ রায় বলেন, “আজকে রাম নবমীর পূণ্য তিথিতে রামভক্তরা অস্ত্র নিয়ে পুজো করে শোভা যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে। এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন কেন এই অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা? সনাতনী হিন্দুরা জানেন যে, যখন অসুর শক্তি সমাজে বেড়ে যায় তখন অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে হয় ধর্ম রক্ষার জন্য। আমাদের ধর্মেই বলা রয়েছে, যখন-যখন ধর্ম সংকটে পড়বে তখন-তখন সমাজে শান্তি রক্ষার জন্য সস্ত্র হাতে তুলে নিতে হবে।”
আরও পড়ুন: Soumen Mahapatra: ‘মাওবাদীদের অস্তিত্বই নেই, বিরোধীরাই ওদের নাম করে পোস্টার দিচ্ছে’