AMTA Student Death: রাতে বাড়িতে ঢুকল চার ‘পুলিশ’, হঠাৎই তিনতলা থেকে ঝুপ শব্দ! ছাত্রনেতার মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Feb 20, 2022 | 2:11 PM

Anis Khan Death : যদিও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানান, আমতা থানার বড়বাবু জানিয়েছেন থানা থেকে কোথাও কাউকে পাঠানো হয়নি।

AMTA Student Death: রাতে বাড়িতে ঢুকল চার পুলিশ, হঠাৎই তিনতলা থেকে ঝুপ শব্দ! ছাত্রনেতার মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য
আমতায় নওশাদ সিদ্দিকি। ছবি সমর দাস।

Follow Us

হাওড়া: ছাত্রনেতাকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত আমতা। নিহত ওই ছাত্রনেতার নাম আনিস খান (২৮)। জানা গিয়েছে, আইএসএফ করতেন আনিস। এর আগে বাগনান কলেজে পড়ার সময় এসএফআইয়ের সমর্থক ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে আমতা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালেই থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করতে যান আনিসের বাবা ও ভাই। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরই আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার, একজন পুলিশ অফিসার এসেছিলেন বলে জানতে পেরেছি। জোর করে ঘরে ঢুকে তারা বাড়ির তিনতলার ঘরে চলে যায়। দু’ পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আবার নীচে নেমে আসে। এদিকে জোরে আওয়াজ শুনে বাড়ির লোকজন উপরে ছুটে যান। দেখেন ছেলে পড়ে রয়েছে। যখন সিভিক ভলান্টিয়াররা বেরিয়ে যাচ্ছিল, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে বলেছে, ‘চলুন স্যর, কাজ হয়ে গিয়েছে’।”

যদিও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানান, আমতা থানার বড়বাবু জানিয়েছেন থানা থেকে কোথাও কাউকে পাঠানো হয়নি। তা হলে কারা পুলিশের পোশাকে গেল তাও তদন্ত করে দেখা দরকার বলেই দাবি নওশাদের। একইসঙ্গে নওশাদের বক্তব্য, এমনও হতে পারে থানার অর্ডার ছাড়াই কেউ গিয়েছে। তা হলে কে গেল, কার অর্ডারে গেল তাও দেখা দরকার।

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিস খান। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে থাকা সাম্প্রতিক আন্দোলনেও যুক্ত ছিল সে। এখনই একটি টিভি চ্যানেলের মারফৎ তার বাবার কথা শুনলাম। বাবার অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বাগনান থানার নাম করে আনিসের আমতার বাড়িতে এসে কয়েকজন পুলিশ এসে আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে মেরে দিয়েছে। যদি এ অভিযোগ সত্যি হয়, অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমরা আনিসের পরিবারের পাশে আছি।”

আনিস খানের বাবা বলেন, “রাত ১টা নাগাদ তিনজন সিভিক পুলিশ, একজন খাকি উর্দি পরা বন্দুকধারী দরজায় ধাক্কাধাক্কি করছিল। আমাকে দরজা খুলতে বলেন। ওদের দাবি, বাগনান থানায় আনিসের নামে কেস ছিল।” হাওড়া গ্রামীণের আওতায় আমতা থানা। হাওড়া গ্রামীণের পুলিশসুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিৎ শূর বলেন, “ভয়ঙ্কর ঘটনা! প্রত্যেকটা প্রতিবাদকে এভাবে গলা টিপে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রত্যেক প্রতিবাদীকে অপরাধী সাব্যস্ত করে অত্যাচার করছে। গোটা রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Student Leader Death: মাঝরাতে বাড়িতে ‘পুলিশ’, ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুনের অভিযোগ আইএসএফ নেতাকে

Next Article