AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Howrah: মাইগ্রেনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে করাত দিয়ে নিজের গলাই কেটে ফেললেন হাওড়ার যুবক

Howrah: মাসের মধ্যে বেশিরভাগ দিনই তিনি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতেন। আর সে কারণে কাজেও যেতে পারতেন না। মাথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বৈদ্যুতিন হাতকরাত চালিয়ে আত্মঘাতী যুবক।

Howrah:  মাইগ্রেনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে করাত দিয়ে নিজের গলাই কেটে ফেললেন হাওড়ার যুবক
মাইগ্রেনের সমস্যায় আত্মঘাতী যুবক
| Edited By: | Updated on: May 07, 2023 | 2:18 PM
Share

হাওড়া: বেশ অনেকদিন ধরেই তিনি এই সমস্যায় ভুগছিলেন। মাথায় ব্যথা হত তাঁর। চিকিৎসকদের কথায়, তিনি মাইগ্রেনে আক্রান্ত ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, মাথার যন্ত্রণা এতটাই মারাত্মক হত, যে কাটা ছাগলের মতো ছটফট করতেন তিনি। মাসের মধ্যে বেশিরভাগ দিনই তিনি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতেন। আর সে কারণে কাজেও যেতে পারতেন না। মাথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বৈদ্যুতিন হাতকরাত চালিয়ে আত্মঘাতী যুবক। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে ব্যাটরা থানা এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাস সংলগ্ন একটি বস্তি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দৌলত আলি মোল্লা (২৯)। পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ওই যুবকের মাইগ্রেন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সেই সমস্যায় ভুগছিলেন। যত বয়স বাড়ছিল, সেই সমস্যা বাড়ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। মাসের মধ্যে বেশিরভাগ দিন তিনি মাথার যন্ত্রণায় কাবু থাকতেন। কাজে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি।

মাঝেমধ্যে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাওড়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছিলেন। রবিবার ভোরে নিজের ঘরেই শুয়েছিলেন তিনি। সারা রাত তিনি মাথা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। খুব ভোরে একটা মেশিন চলার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এমন কিছু হতে পারে, তা দুঃস্বপ্নেও কখনও ভাবতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা যখন ঘর থেকে বের হন, তখন রক্তবন্যা বইছে। ভেসে যাচ্ছে মেঝে। পড়ে রয়েছে দৌলত আলির দেহ। তাঁর হাতের পাশেই পড়েছিল করাত। বৈদ্যুতিন হাতকরাত নিজের গলায় চালিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

যুবকের মা বলেন, “খালি বলত মাথা যন্ত্রণা। ওর আর কোনও সমস্যা নেই। কয়েকদিন ভুলভাল বকছিলও। রাতে ওষুধ খাইয়ে ঘুমও পাড়িয়ে দিই। তারমধ্যেই বাঁশ কাটার মেশিন চালিয়ে দেয় গলায়।”