হাওড়া: নতুন আপদের নাম ওমিক্রন (Omicron)। ইতিমধ্যেই বিশ্ব দাপিয়ে বেড়িয়েছে করোনার নানা প্রজাতি। কিন্তু ওমিক্রন যে আরও ভয়ানক খোদ ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এ বার ওমিক্রনের খোঁজ দেশে মিলতেই বিশেষ পদক্ষেপ করল ভারতীয় রেল (Indian Railways)।
ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, ওমিক্রন রুখতে রেলমন্ত্রকের তরফে একাধিক নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন রেলওয়ে ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজারদের রেলওয়ে বোর্ডের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কে শ্রীধরকে চিঠি লিখে এ সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি, চিকিত্সার জন্য পিপিই কিটস ও ওষুধপত্র এক মাসের জন্য স্টক করতে বলা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, অক্সিজেন সিলিন্ডারের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি রেলের সমস্ত চিকিত্সা কেন্দ্রে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য চিকিৎসায় একই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিরাজ কুমার জানিয়েছেন, তাঁরা রেলওয়ে বোর্ডের নতুন নির্দেশ মেনে চলবেন। এর পাশাপাশি তিনি জানান, দক্ষিণ পূর্ব রেল যাত্রীদের সচেতন করার সঙ্গেই সংক্রমণ রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্টেশন চত্বরে যাত্রীদের জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একজায়গায় যাতে জমায়েত না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে অধিক রেলপুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে। এছাড়াও থাকছে মাইকিং ও অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধক ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার ভারতে প্রথম ২ ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস (Coronavirus) শনাক্ত করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, করোনা উপসর্গ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন ওই দুই ব্যক্তি। কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে গোটা দেশে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিমান বন্দরগুলিতে। কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে যে সব দেশকে চিহ্নিত করেছে, সেই সব দেশ থেকে গত কয়েকদিনে ১৬০০০ জন এসেছেন ভারতে। এর মধ্যে ১৮ জন করোনা আক্রান্ত। তাঁদের নমুনার জেনোম সিকোয়েন্সিং চলছে। শুক্রবার লোকসভায় এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
ভারতে ওমিক্রনের হদিশ মিলতেই আরও তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এরই মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশে। গত ১০ দিনে বিদেশ থেকে ফিরেছে এমন ৩০ জনের কোনও খোঁজ নেই। জানা গিয়েছে গত ১০ দিনে ৬০ জন এসেছেন বিদেশ থেকে। তাঁরা বিশাখাপত্তনমে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩০ জনে সেখানেই রয়েছেন, বাকিরা অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ওমিক্রন ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে ভারতে। আর এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ওমিক্রনের হানা থেকে বাঁচতে পথ একটাই… “টিকাকরণ, টিকাকরণ এবং টিকাকরণ।” আজ কেন্দ্রের তরফে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ওমিক্রনের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে, তার থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে ভারত সহ বিশ্বের আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে ওমিক্রন।” করোনার নতুন স্ট্রেনে আগামী কয়েক দিনে বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: BJP meet Narendra Modi: মোদী সাক্ষাতে বিজেপির বঙ্গব্রিগেড, সিএএ-র বাস্তবায়নে জোর