হাওড়া: হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের গাড়ি থেকে ৩০ জুলাই উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এর পর পাঁচলা থানার পুলিশ তিন বিধায়ক-সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার তদন্ত প্রথমে পাঁচলা থানার পুলিশ করলেও পরে সিআইডি ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ওই তিন বিধায়ককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিআইডি। গত ১৭ অগস্ট ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ককে জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার হাওড়া জেলা সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তাঁরা। জেল থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন জামতাড়ার বিধায়কস ইরফান আনসারি। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় রাজনৈতিক লাভের জন্য ফাঁসিয়েছেন তাঁদের। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেছেন তিনি।
জেল থেকে বেরিয়ে ইরফান বলেছেন, “গাড়িতে তিন জন বিধায়কের টাকা ছিল। আমরা এক সঙ্গেই সেই টাকা নিয়ে আসছিলাম কেনাকাটার জন্য। আদিবাসী উৎসবের জন্য কেনাকাটা করতেই সেই টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল। আমি মমতাদিকে খুব সম্মান করতাম। কিন্তু রাজনৈতিক লাভের জন্য আমাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হল। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার।” পাশাপাশি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। বিজেপির সঙ্গে যোগের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “আমাদের সঙ্গে বিজেপির কখনই হবে না। আমি হজ যাত্রা কমিটির চেয়ারম্যান।” বিজেপিতে কখনই যোগ দেবেন নাও বলেছেন তিনি। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস সরকার ফেলার অভিযোগ করা হচ্ছে, তাও ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে কংগ্রেস বিধায়কদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, “এটা নিয়ে রাজনৈতিক চক্রান্তের কী আছে। ওদের দলই ওদের চিনে নিয়েছে। সাসপেন্ড করেছে। টাকা নিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন। আমরা কী করব।”