AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Howrah: চাকরি করতে চায় হাওড়ার মেয়ে, মানতে না পেরে পায়ে শিকল বেঁধে বিয়ের তোড়জোড় বাবার!

Howrah: যুবতীর পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে নিউ ব্যারাকপুরে একটি অনলাইনে সেলস কোম্পানিতে চাকরি পান তিনি। সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিল পড়াশোনা। বর্তমানে বড়বাজারের সাবিত্রী মহাবিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া আরতি।

Howrah: চাকরি করতে চায় হাওড়ার মেয়ে, মানতে না পেরে পায়ে শিকল বেঁধে বিয়ের তোড়জোড় বাবার!
প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে আরতিকে উদ্ধার পুলিশের Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 12, 2025 | 9:16 AM
Share

হাওড়া: মেয়ের স্বপ্ন চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। হাল ধরবে পরিবারের। কিন্তু, রাজি নন মা-বাবা। জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, মেয়ে বেঁকে বসতেই তুলকালামকাণ্ড বাড়িতে। অভিযোগ, বিয়ের জন্য চাপ দিতে দিতেই শুরু হয় অত্যাচার। মেয়ের কাজে যাওয়া বন্ধ করতে শেষ পর্যন্ত পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানা এলাকায়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর যায় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে উত্তর হাওড়ার ঘুসুড়ি থেকে উদ্ধার করে আরতি সাউ নামে উনিশ বছরের ওই যুবতীকে। 

যুবতীর পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে নিউ ব্যারাকপুরে একটি অনলাইনে সেলস কোম্পানিতে চাকরি পান তিনি। সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিল পড়াশোনা। বর্তমানে বড়বাজারের সাবিত্রী মহাবিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া আরতি। ব্যারাকপুরে কাজটা পাওয়ার পর সেখানেই ট্রেনিং শুরু করেন। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও হয়। আরতির অভিযোগ, চাকরি পেলেও তা হাসিমুখে মেনে নিতে পারেনি বাবা। বারবার তাঁকে চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে আসার জন্য জোর করতে থাকে। চরমে ওঠে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে শেষ পর্যন্ত কাজের কারণেই বাড়ি ছাড়েন আরতি। 

এরইমধ্যে হঠাৎ বাড়ি এলে আরতিকে ঘরে বন্দি করে ফেলে তাঁর মা-বাবা। অভিযোগ, যাতে কোনওভাবেই আর বাইরে যেতে না পারে সে কারণে পায়েও চেন-তালা দিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ। আরতিকে উদ্ধার করার পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে আরতি আর মা-বাবার কাছে ফিরে যেতে চান না বলেই জানাচ্ছেন। ফিরতে চান কর্মস্থলে। আবার কাজ করতে চান মাথা উঁচু করে। পুলিশ তাঁকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।

আরতির বাবা গৌরা সাউ বলেন, “ও শুধু পালিয়ে যেত। টাকা-পয়সা নিয়েও চলে যেত। তাই ওকে আটকে রেখেছিলাম। আমরা শুধু যখন কাজে গিয়েছিলাম তখন ওকে আটকে রেখেছিলাম। বিকালে আবার খুলে দিয়েছিলাম। চেন দিয়ে বেঁধে রাখা ভুল হয়েছিল মানছি। কিন্তু ও শুধু পালিয়ে যেত বলেই এমনটা করেছিলাম।” অন্যদিকে আরতি বলছেন, “বাবা তো ১৫ দিন থেকে বেঁধে রেখেছিল। শুধু বিয়ে দিতে চাইছিল। কাল তো ছেলেও দেখতে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি বিয়ে করতে চাই না। পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।”