হাওড়া: প্রকাশ্য রাস্তায় ক্রমাগত লাথি মারা হচ্ছে যুবককে। একের পর এক মার। এরপর টেনে হিঁচড়ে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে। ঠিক এমনই অমানবিক রূপ ধরা পড়ল পুলিশের। ঘটনায় রীতিমত নিন্দার ঝড় চারিদিকে।
বুধবার দুপুরে এক যুবককে প্রকাশ্যে রাস্তায় লাথি মারতে দেখা যায় কিছু পুলিশকর্মীদের। লাথি মারতে মারতে তাকে হাওড়া কোর্ট লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জেলের আসামিদের প্রিজন ভ্যানেই নাকি ওই যুবক গাঁজা দিতে এসেছিল। সেই সময় প্রিজন ভ্যানের অপরাধীদের নিয়ে আসা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা ধরে ফেলে যুবককে। এরপর চলে মারধর। কিন্তু গাঁজা দেবার ঘটনা ঘটলে পুলিশ তাকে আটক কিংবা গ্রেফতার না করে প্রকাশ্যে এভাবে মারধর করলো কেন? শুধু তাই নয় এরপর ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাওড়া আদালতের আইনজীবী সুবীর প্রধান জানান, “এই ঘটনা শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘন করা নয় আইনকে অমান্য করা হয়েছে। কেউ অপরাধ করলে তাকে গ্রেফতার করা যেতে পারত। কিন্তু তাকে এইভাবে নিগৃহীত করা কখনই উচিৎ নয়। এখানে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি আইনের লঙ্ঘণও করেছে। এই ঘটবা অ্যামেরিকার জর্জ ফ্লয়েডের কথা মনে করিয়ে দিল। এখানে লাথি মারার জন্য লোকটি মারাও তো যেতে পারত। এদিকে শুনছি গাঁজা পাচারের অপরাধে আবার তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। এটা আরও বড় অবরাধ।” অন্যদিকে, ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, “পুলিশের এই ধরনের কাজ করা উচিত হয়নি। অন্যায় কাজ করা হয়েছে। কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
যদিও এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানান, আজকে আসামীদের নিয়ে আসার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের(এসকর্ট পার্টি)পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত হবে।”
আরও পড়ুন: Newtown Pornography: ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন, যুবকের নগ্ন ভিডিয়ো ছড়াল সামাজিক মাধ্যমে