
সাঁতরাগাছি: এদিনই শুভ সূচনা হয়েছে হাওড়া-পুরুলিয়া নতুন মেমু স্পেশ্যালের। পুরুলিয়া থেকে গড়াল নতুন ট্রেনের চাকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাঁতরাগাছির ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গিয়েছিলেন তৃণমূল সংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই জমি জট নিয়ে প্রসূনকে খোঁচা দিতে দেখা গেল রেল মন্ত্রীকে। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধে উঠে কাজ করার আবেদন রেলমন্ত্রীর। তা নিয়ে রাজনীতির আঙিনায় শুরু হয়েছে চাপা গুঞ্জন।
মঞ্চে তখন বসে আছেন প্রসূন। আছেন সুকান্তরাও। তখনই একাবের জমি জট নিয়ে তালিকা ধরে রাজ্য়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রেলমন্ত্রী। বললেন, যেখানে মানুষের পরিষেবার বিষয়, এখানে উচিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা। জমি না দিলে রেল প্রকল্প সম্ভব হবে নয়। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে যদি কাজ করে তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা হবে। সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ না থাকলে সব কাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু যদি জমি না পাওয়া যায় এবং রাজ্য সরকার যদি রাজনীতির ঊর্ধ্বে না উঠতে পারেন তাহলে রেল প্রকল্পগুলি আর বাস্তবায়ন হবে না।
কোন কোন প্রকল্পে আটকে?
এরপরই একেবারে তালিকায় দিয়ে কোন কোন প্রকল্প জমি জটে আটকে রয়েছে তার তালিকা তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রীর দাবি, চিংড়িয়াটায় মেট্রো প্রকল্প আটকে ট্রাফিকের অনুমতির জন্য। বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর লাইন মাত্র ২ কিলোমিটার জমি দরকার। ৬০ কিলোমিটার লাইন বসানো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সামান্য জমি না পাওয়ায় গোটা প্রকল্প আটকে। নন্দীগ্রােম জমির অভাবে রেললাইন আটকে। তবে দিল্লি-বালুরঘাট লাইন অনেক কষ্ট করে যে চালু করা গিয়েছে সে কথাও বলেন। এরপরই প্রসূনের বিরুদ্ধে বলেন, “আমি হাত জোড় করে আবেদন করব রাজ্য সরকার যেন রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করে। তাহলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।”
প্রসূনের কাছে একই দাবি করেন সুকান্ত মজুমদারও। রীতিমতো অনুযোগ সহকারে জমি সমস্যা মেটানোর দাবি করেন। সঙ্গে দিলেন খোঁচা। বললেন, “মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারণ হোক বা নতুন লাইন পাতা, কোনওরকম সহযোগিতা রাজ্য প্রশাসনের তরফে পাওয়া যায় না। ৬১টি রেল প্রকল্প আটকে রয়েছে শুধুমাত্র জমির অভাবে। আমি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে বলব, তাদের তরফে যেন একটু সাহায্য করা হয় রেলকে। রেল প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।” পাল্টা তোপ দাহেন প্রসূনও। তাঁর দাবি, তিনি অনেক কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বলার সুযোগ পাননি। তিনি বলেন, “এরা খুব খারাপ। নিজেরটা ছাড়া কিছু জানে না।”