উলুবেড়িয়া: মেয়ের শ্লীলতাহানি (Molestation) রুখতে গিয়ে খুন হতে হয়েছে বাবাকে। দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে খুন করেছে তাঁকে। শ্যামপুরের (Shyampur) ঘটনায় ফুঁসছে গোটা এলাকা। ঘটনার আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবারই এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নিগৃহীতার। ধৃত তিন জনের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শ্যামপুরে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে উঠে আসছে শাসকদলের মদতের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজ্যনীতি। বুধবার শ্যামপুর যাচ্ছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নেই বললেই চলে। শ্যামপুরে আগে ওসি-ও এইভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।” ঘটনার প্রতিবাদে এদিন দুপুরে শ্যামপুর মোড় অবরোধ করবেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। রয়েছে থানা ঘেরাও কর্মসূচিও। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাতেই এলাকাজুড়ে চলে মত্তদের দাপাদাপি। শ্যামপুরের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পিছনেই বসে মদের ঠেক। কানা গলি, অন্ধকার ঘুপতি বসে চলে মদ্যপান। .
যদিও এই নিয়ে শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “বাংলার কলকাতা,হাওড়া এই জায়গাগুলো কেন্দ্রীয় সরকারও বলছে মেয়েদের জন্য নিরাপদ।” কিন্তু প্রশ্ন তাহলে এমন নক্কারজনক ঘটনা কেন? প্রশ্ন তুলে এদিন শ্য়ামপুরে পথে নামছে বাম-কংগ্রেসও।
রবিবার সন্ধ্যায় পাড়ার গলি দিয়েই টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পথে তিন দুষ্কৃতী তার সাইকেল আটকায়। নিগৃহীতার অভিযোগ, তার হাত ধরে টান দিতে থাকে। কোনওভাবে হাত ছাড়িয়ে বাড়িতে ফিরে সব ঘটনা পরিবারের সদস্যদের জানায় সে। এরপরই ওই ছাত্রীর বাবা প্রতিবাদ করতে এলাকায় যান। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারতে মারতে মাঠের ধারে নিয়ে যান। যতক্ষণে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাঁচাতে যান, তাঁর মৃত্যু হয়। মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে খুন হতে হয় বাবাকে। এই অভিযোগে শ্যামপুর এখন গোটা বাংলার নজরে।