হাওড়া: হাওড়ায় ফের তোলাবাজির অভিযোগ। এবার তোলাবাজি করায় নাম জড়ালো এলাকারই প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, টাকা না দেওয়ায় ওষুধ ব্যবসায়ীকে ফেলে মারধর করা হল। সঙ্গে ছিনতাই করা হল তার সোনার চেন। হাওড়ার বেলুড়ের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম সুমিত ডালমিয়া। তার ওষুধের দোকানটি বেলুড়ের গিরিশ ঘোষ রোডের কাছে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ সুমিতবাবু ও তাঁর স্ত্রী রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় হঠাৎ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁদের ঘিরে ধরে। এরপর তারা তোলার পঞ্চাশ হাজার টাকা চায়। কিন্তু সেই টাকা দিতে চাননি ওই ওষুধ ব্যবসায়ী। ফলস্বরূপ রাস্তার মধ্যে ফেলেই চলে মারধর। এরপর সুমিতবাবুর গা থেকে তার সোনার হারটিও ছিনতাই করতে চায় দুষ্কৃতীরা। গোটা ঘটনার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। এই বিষয়ে বেলুড় থানায় মামলা রুজু করা হয়। এরপরই গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বেলুড় থানার পুলিশ।
সুমিতবাবু বলেন, “হঠাৎ করে অনেকে এসে আমার দোকানে ঢুকে হুমকি দিতে থাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবে। এই ঘটনা অনেকদিন ধরেই চলছিল। এরপর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী ও আমায় দেখে ওই দুষ্কৃতীরা মন্তব্য করতে থাকে। এই নিয়ে চার-পাঁচবার থানায় এফআইআর করেছি। আমার কাছে এর ফুটেজও আছে। আর এই পুরো ঘটনা প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তার দলবল করছে।”
বস্তুত, ওষুধ ব্যবসায়ী সুমিত ডালমিয়া বালির প্রাক্তন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরবর্তীকালে বৈশালী ডালমিয়া দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে গেলে এই সুমিতই তার ইলেকশন এজেন্ট হয়েছিলেন এমনটাই শোনা যায়। যদিও সম্পূর্ণ ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সীমা ভৌমিক।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on Jodhpur Park issue: ‘আগে মস্তানরা তোলাবাজি করত, এখন নেতারা করেন’