
আমতা: ২১ মার্চ, ২০২২। বীরভূমের বগটুইয়ে (Bagtui) পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিল গোটা বাংলা। যার রেশ এখনও বর্তমান বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, আমতায় আরও একটা বগটুই করার চেষ্টা হয়েছে। কপাল ভাল, তাই অত বড় ক্ষতি হয়নি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে আমতায় বিজেপির (BJP) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সোমা রায় সহ ৬ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া। অভিযোগের তির তৃণমূলের (Trinamool Congress) দিকে। অভিযোগ, বেশ কিছু বাড়িতে শিকল তুলে দিয়ে বাইরে থেকে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এদিন আমতায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন শুভেন্দু। দিলেন পাশে থাকার আশ্বার। শীঘ্রই এ নিয়ে আইনি লড়াইয়েও নামবেন বলে জানালেন। সুর চড়ালেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। আওয়াজ তুললেন ছাপ্পা ভোট, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও।
এদিন আমতায় গিয়ে শুরুতেই আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। বাড়ি বাড়ি ঘোরেন। বাড়ির মহিলাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ঘুরে দেখেছেন গোটা এলাকা। তারপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “বিজেপি করার অপরাধে কী করেছে দেখুন। আমি এদের নিয়ে সোমবার রিট-পিটিশন দাখিল করব।” এদিকে শুভেন্দুকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আক্রান্ত পরিবারের লোকজনেরা। ছুটে আসেন গ্রামবাসীরাও। তাঁদের দেখিয়েই শুভেন্দু বলেন, “গোটা গ্রাম আজ এসেছে। আমরা কাউকে ডাকিনি। এদের ভোট লুঠ হয়ে গিয়েছে। এদের কাউকে কাউন্টিংয়ের দিন ঢুকতে দেয়নি। প্রহসনের ছাপ্পার পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই বীরভূমের বগটুই গ্রামের ১০টি বাড়ি জ্বলে ওঠে। ঘরের শিকল তুলে কিছু কিছু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরদিন সকালে উদ্ধার হয় ৮ জনের দেহ। সে কথা মনে করিয়েই শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূল যা করার চেষ্টা করেছে তাতে আর একটা বগটুইয়ের প্রতিচ্ছবি আমতায় দেখা যেতে পারত। কপাল জোরে তা হয়নি।