ডোমজুড়: এবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। মেডিক্যালে সাসপেন্ডেড ছাত্রদের নিয়ে কোনও কথা না বলায় তৃণাঙ্কুরকে এক হাত নেন শ্রীরামপুরের বর্ষীয়ান সাংসদ। এমন ছাত্র সভাপতি থেকে লাভ কী? প্রশ্ন তুললেন তিনি।
রবিবার ডোমজুড় উৎসবের প্রকাশ্য মঞ্চে দলের ছাত্র শাখার সভাপতির ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দেন কল্যাণ। আরজি কর কাণ্ডের পর বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা হয়। কল্যাণ বলেন, “টিএমসিপি-র এতগুলো ছেলে সাসপেন্ড হয়ে গেল, আর টিএমসিপির সভাপতির মুখ থেকে কোনও কথা নেই। অবিশ্বাস্য। আমি ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে যে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে?”
তৃণমূলে যখন রদবদলের আবহ চলছে, তখন তৃণাঙ্কুরকে পদ থেকে সরানোর কথা ভাবা উচিত বলে মনে করেন কল্যাণ। কার্যত ছাত্র পরিষদ সংগঠন কাজ করছে না বলেও এদিন ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে। এবছরের শেষের দিকে ওই নির্বাচন হতে পারে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও ঘোষণা এখন ও নেই। কিন্তু তার আগেই তৃণাঙ্কুরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছাত্রদের জন্য তিনি এবং কুণাল ঘোষ কার্যকরী ভূমিকা নিচ্ছেন বলেও এদিন মন্তব্য করেন কল্যাণ। বলেন, “বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর পাশে কেউ নেই। তারা আসছে আমার কাছে।” দলের কোনও কর্মীর উপর অন্যায় হতে তিনি দেবেন না বলে মন্তব্য করেন কল্যাণ।