চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ধাঁ! হতবাক হয়ে বসে পড়লেন প্রৌঢ়

Theft in Howrah: ছিনতাই করে পালাবার সময় সেই ব্যাগ থেকে এক লক্ষ টাকার একটি বান্ডিল রাস্তায় পড়ে যায়। এরপর ওই দুই বাইক আরোহী টাকা নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে উলুবেরিয়ার দিকে পালিয়ে যায় বলে খবর। এদিকে এই গোটা অপারেশনটাই সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ধাঁ! হতবাক হয়ে বসে পড়লেন প্রৌঢ়
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ

| Edited By: সৈকত দাস

Aug 23, 2021 | 5:09 PM

হাওড়া: দিনে দুপুরে ছিনতাই হাওড়ায়। প্রথমে প্রৌঢ়ের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছেটানো হল, তার পর মাথায় জোরাল আঘাত করে তাঁর হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল ১০ লক্ষ টাকা। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার বাঁকড়া পশ্চিম মোড়ের কাছে।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মদের দোকানের কর্মচারী জনৈক বরুণ প্রামানিক সাদা বাজারের ব্যাগে দশ লক্ষ টাকা নিয়ে এদিন স্থানীয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। পায়ে হেঁটেই ব্যাঙ্কে পৌঁছচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকা দুই মোটর বাইক আরোহী তাঁর সামনে এসে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে। তাঁকে ঘিরে ধরে। কিছু বলার আগেই প্রৌঢ়ের চোখ লক্ষ্য করে ছুড়ে মারা হয় লঙ্কার গুঁড়ো। সেখানেই থামে না তারা। একটা ভারি বস্তু দিয়ে বরুণবাবুর মাথায় মাথায় আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই বেসামাল হয়ে পড়েন বরুনবাবু। তখনই তার হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে চেয়েও পারেননি বরুণবাবু।

এদিকে ছিনতাই করে পালাবার সময় সেই ব্যাগ থেকে এক লক্ষ টাকার একটি বান্ডিল রাস্তায় পড়ে যায়। এরপর ওই দুই বাইক আরোহী টাকা নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে উলুবেরিয়ার দিকে পালিয়ে যায় বলে খবর। এদিকে এই গোটা অপারেশনটাই সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। মদের দোকানের পক্ষ থেকে বাঁকরা আউটপোস্টে অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করলে দেখা যায় একজন স্থানীয় বাসিন্দা দুষ্কৃতীদের ইঙ্গিত করে ওই কর্মচারীকে চিনিয়ে দিচ্ছেন। একইসঙ্গে রাস্তার পড়ে থাকা এক লক্ষ টাকার বান্ডিলটি ওই ব্যক্তিই তুলে নিয়ে যায় বলে দাবি পুলিশের। বাঁকড়া আউটপোস্টের পুলিশ পরে ওই ওই ‘টিপার’ সহ দু’জনকে ই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

মদের দোকানের এক কর্মচারী পার্থ সামন্ত জানিয়েছেন, ওই টিপার প্রায়ই তাদের দোকানে আসত। প্রতিদিনই ব্যাঙ্কে টাকা দিতে যাওয়ার বিষয়টি তার নজরে ছিল। তাই প্রথমেই তাকে সন্দেহ হয় এবং তা পুলিশকে জানানো হয়। এদিকে আহত বরুণ প্রামানিককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন গত ৩০ বছর ধরে তিনি এই একই কাজ করছেন। কোনওদিন এমন ঘটনা ঘটেনি। আজ সকালে যখন তার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে তখন তিনি হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন। এখনও ঘোর কাটছে না তাঁর। আরও পড়ুন: ‘আমরা আর দুয়ারে সরকারে কাজ করব না,’ বিডিও-র বিরাশি শিক্কার চড়ে চোখ ছলছল কর্মীর