West bengal municipal election 2021: হাওড়ার পুরভোট নিয়ে ফের অধ্যক্ষ-রাজ্যপালের তরজার আবহ

Howrah Municipal Election: হাওড়া পুরসভা নিয়ে যে বিল তা কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে চাওয়া হলে এদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল এই বিলে সই করে দিতেই পারতেন।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 06, 2021 | 8:24 PM

কলকাতা: ফের তরজার আবহ বিধানসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্যপালের মধ্যে। হাওড়ায় পুরভোট না হওয়ার কারণে সোমবার সকালেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে দায়ী করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলেই পাল্টা রাজ্যপাল বলেন, হাওড়া কর্পোরেশনের অ্যামেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। যা এখনও তিনি হাতেই পাননি।

হাওড়া পুরসভা নিয়ে যে বিল তা কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে চাওয়া হলে এদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল এই বিলে সই করে দিতেই পারতেন। এই সই না করার কারণেই হাওড়ার ভোট আটকে রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন অধ্যক্ষ সরাসরি রাজ্যপালকে হাওড়ার পুরভোট না হওয়ার জন্য দায়ী করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানান, এই বিলে স্বাক্ষর না হওয়ার জন্যই ভোটও হল না।

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তিন কৃষি বিলের কথাও তুলে আনেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, কেন্দ্রের যে তিন কৃষি বিল নিয়ে আপত্তি ছিল, রাতারাতি তা সই করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। অথচ হাওড়া-বালি বিযুক্তিকরণ বিলে এখনও রাজ্যপাল সই করলেন না।

এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার মনে হয় এই বিল দ্রুত পাশ না করানোর কারণেই হাওড়ার পুরভোট হতে পারল না। এটা না হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। যদি আমাদের দেশে তিনটে কৃষি বিল যদি রাতারাতি রাষ্ট্রপতি সই করে দিয়ে পাশ করিয়ে দিতে পারেন, প্রত্যাহার যেটা হল, বাতিল যেটা হল তাও এক রাতের মধ্যেই হল। এটাই বোঝার। প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব বুঝে কাজ করাটাই আসল। আমি জানি না উনি (রাজ্যপাল) কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটাকে আটকে রেখেছেন। উনিই এর জবাব ভালমতো দিতে পারবেন। আমাদের বিধানসভা থেকে যা যা করণীয় সমস্ত কিছুই আমরা করে ফেলেছি।”

যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের পাল্টা তোপ, “খুব দুর্ভাগ্যজনক বিধানসভার অধ্যক্ষ এই ধরনের কথা বলছেন। রাজ্যপাল নিজের দায়িত্ব জানেন। একসঙ্গে কাজ করা উচিত। সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা উচিত। হাওড়া কর্পোরেশনের অ্যামেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেটা এখনও আসেনি।”

কেন হাওড়া নিয়ে এত জটিলতা?

এতদিন হাওড়া পুরসভার অধীনেই ছিল বালি পুরসভা। বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়ার মোট ওয়ার্ড ছিল ৬৬টি। গত ১২ নভেম্বর বালিকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা অধিবেশনে বিল আনা হয়। ‘মাইক্রো লেভেলে নাগরিক পরিষেবা’ পৌঁছে দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে। কিন্তু বিল পাস করানো হলেও রাজ্যপালের সই ছাড়া তা আইন হবে না। এদিকে রাজ্যপাল একাধিক প্রশ্ন তুলে সেই সই-পর্ব বাকি রেখেছেন।

আরও পড়ুন: বাকি পুরভোট ৬ থেকে ৮ দফায় চায় রাজ্য, আদালতে হলফনামা কমিশনের

কলকাতা: ফের তরজার আবহ বিধানসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্যপালের মধ্যে। হাওড়ায় পুরভোট না হওয়ার কারণে সোমবার সকালেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে দায়ী করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলেই পাল্টা রাজ্যপাল বলেন, হাওড়া কর্পোরেশনের অ্যামেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। যা এখনও তিনি হাতেই পাননি।

হাওড়া পুরসভা নিয়ে যে বিল তা কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে চাওয়া হলে এদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল এই বিলে সই করে দিতেই পারতেন। এই সই না করার কারণেই হাওড়ার ভোট আটকে রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন অধ্যক্ষ সরাসরি রাজ্যপালকে হাওড়ার পুরভোট না হওয়ার জন্য দায়ী করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানান, এই বিলে স্বাক্ষর না হওয়ার জন্যই ভোটও হল না।

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তিন কৃষি বিলের কথাও তুলে আনেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, কেন্দ্রের যে তিন কৃষি বিল নিয়ে আপত্তি ছিল, রাতারাতি তা সই করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। অথচ হাওড়া-বালি বিযুক্তিকরণ বিলে এখনও রাজ্যপাল সই করলেন না।

এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার মনে হয় এই বিল দ্রুত পাশ না করানোর কারণেই হাওড়ার পুরভোট হতে পারল না। এটা না হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। যদি আমাদের দেশে তিনটে কৃষি বিল যদি রাতারাতি রাষ্ট্রপতি সই করে দিয়ে পাশ করিয়ে দিতে পারেন, প্রত্যাহার যেটা হল, বাতিল যেটা হল তাও এক রাতের মধ্যেই হল। এটাই বোঝার। প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব বুঝে কাজ করাটাই আসল। আমি জানি না উনি (রাজ্যপাল) কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটাকে আটকে রেখেছেন। উনিই এর জবাব ভালমতো দিতে পারবেন। আমাদের বিধানসভা থেকে যা যা করণীয় সমস্ত কিছুই আমরা করে ফেলেছি।”

যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের পাল্টা তোপ, “খুব দুর্ভাগ্যজনক বিধানসভার অধ্যক্ষ এই ধরনের কথা বলছেন। রাজ্যপাল নিজের দায়িত্ব জানেন। একসঙ্গে কাজ করা উচিত। সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা উচিত। হাওড়া কর্পোরেশনের অ্যামেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেটা এখনও আসেনি।”

কেন হাওড়া নিয়ে এত জটিলতা?

এতদিন হাওড়া পুরসভার অধীনেই ছিল বালি পুরসভা। বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়ার মোট ওয়ার্ড ছিল ৬৬টি। গত ১২ নভেম্বর বালিকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা অধিবেশনে বিল আনা হয়। ‘মাইক্রো লেভেলে নাগরিক পরিষেবা’ পৌঁছে দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে। কিন্তু বিল পাস করানো হলেও রাজ্যপালের সই ছাড়া তা আইন হবে না। এদিকে রাজ্যপাল একাধিক প্রশ্ন তুলে সেই সই-পর্ব বাকি রেখেছেন।

আরও পড়ুন: বাকি পুরভোট ৬ থেকে ৮ দফায় চায় রাজ্য, আদালতে হলফনামা কমিশনের