ISF Naushad Siddiqui: ‘আমি অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী নই…’, নওশাদকে ধাক্কা মারার ঘটনায় বললেন তোতা
Attack on Naushad: ১৮ মার্চের ঘটনা। ধর্মতলায় ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের যে আন্দোলন চলছে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
হাওড়া: ডিএ-র প্রতিবাদ মঞ্চে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) ধাক্কা মারার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন শেখ আব্দুল সালাম ওরফে তোতা। আপাতত জামিনে মুক্ত তিনি। জামিন পেয়ে নওশাদের বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর চেষ্টার অভিযোগ তুললেন বাঁকড়ার ওই যুবক। গত শনিবার শেখ আব্দুল সালাম নওশাদ সিদ্দিকিকে মঞ্চে ধাক্কা মারেন। তবে তার জন্য তিনি অনুতপ্ত হলেও ক্ষমাপ্রার্থী নন বলেই জানান। পাল্টা তোতা বলেন, নওশাদের উদ্দেশ্য অন্য। তিনি বুঝতে পারছেন, তাই প্রতিবাদ করেছেন। তোতার বক্তব্য, “বাংলায় যাতে অশান্তির বাতাবরণ থাকে নওশাদ সিদ্দিকি সব জায়গায় সেই বক্তব্যই রাখেন। আমি সেদিন বিধায়ককে ধাক্কা মেরেছি, সেটা হয়ত উচিত হয়নি। আমি অনুতপ্ত, তবে ক্ষমা চাইছি না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে উনি অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুরছেন। অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করছেন।” যদিও ঘটনার দিনই নওশাদ বলেছিলেন, “পরিকল্পনা করে এই আন্দোলনটাকে ভুলুন্ঠিত করার চেষ্টা করছিল।”
১৮ মার্চের ঘটনা। ধর্মতলায় ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের যে আন্দোলন চলছে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মঞ্চে তাঁর বক্তব্য যখন শেষের মুখে, হঠাৎই এক যুবক সেখানে উঠে পড়েন। প্রশ্ন করেন, “সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছেন?” দু’ এক কথার মধ্যেই বিধায়ককে ধাক্কা মারেন ওই যুবক।
তুমুল হইচই শুরু হয় মঞ্চে। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। পরে জানা যায় ওই যুবকের পরিচয়। বাঁকড়ার বাসিন্দা তোতা একজন তৃণমূল কর্মী। বাঁকড়া-২ গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যও তিনি। এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মেহের আলি সেদিন দাবি করেছিলেন, “আমি জানি ও অসুস্থ। মানসিক সমস্যা আছে। ওর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগও নেই। আমাদের পঞ্চায়েতের সদস্য ঠিকই। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে ছিল না। তখন বিজেপি করত। এখনও ফিরে আসেনি তৃণমূলে।” যদিও তোতার বক্তব্য, “অনেকে অনেক কিছুই বলবে। আমি ২০০৬ থেকে রাজনীতি করি। তাই কারও কথায় কিছু যায় আসে না।”