উলুবেড়িয়া: আরজি করের সেমিনার হল থেকে পিজিটি মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার। তা নিয়ে শুরু শোরগোল। সেইসময়ই সেমিনার হলের পাশের ঘর ভেঙে সংস্কারের কাজ শুরু। হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? ওঠে প্রশ্ন। অভিযোগ ওঠে, আরজি কর হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই ওই সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। আরজি করে সংস্কারের কাজ কার নির্দেশে হচ্ছিল, রবিবার উলুবেড়িয়ায় তৃণমূলের ধরনা মঞ্চ থেকে জানালেন মন্ত্রী।
৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ‘তিলোত্তমা’-র দেহ উদ্ধার হয়। তিলোত্তমার খুনে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। সেইসময়ই দেখা যায়, সেমিনার হলের পাশের একটি ঘর সংস্কারের জন্য ভাঙা হচ্ছে। অভিযোগ ওঠে, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই ঘর ভাঙা শুরু হয়। গত ১২ অগস্ট জাতীয় মহিলা কমিশনের পদক্ষেপে ওই সংস্কারের কাজ বন্ধ করা হয়। এমনকি, কলকাতা হাইকোর্টেও বিষয়টি ওঠে। অভিযোগ ওঠে, সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই এই ঘর সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সত্যিই কি তাই? এদিন মুখ খুললেন মন্ত্রী পুলক রায়।
তিলোত্তমার নৃশংস পরিণতিতে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে উলুবেড়িয়ায় তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে এদিন আসেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই ঘর ভাঙা হচ্ছিল। কিন্তু, তা ঠিক নয়। আরজি করে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। আমি সেই দফতরের মন্ত্রী হিসেবে বলছি, একটি পরিত্যক্ত ঘর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। এবং ওই ঘটনার অনেক আগে থেকেই সেই ঘর ভাঙা হচ্ছিল। পুলিশের নির্দেশে তা বন্ধ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন, সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে নয়। ওই ঘর সংস্কারের কাজ করছিল পূর্ত দফতর। এবং ৯ অগস্টের আগে থেকেই সেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)