Jagatballavpur: গৃহবধূকে ‘খুন’, থানার ভিতরেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মার বাপের বাড়ির সদস্যদের, পরে পুলিশের লাঠিপেটা উভয়কে

Howrah: হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের শংকরহাটির এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব পাড়ার ঘটনা। পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুন করে কাপড় দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।

Jagatballavpur: গৃহবধূকে খুন, থানার ভিতরেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মার বাপের বাড়ির সদস্যদের, পরে পুলিশের লাঠিপেটা উভয়কে
গৃহবধূকে খুন হাওড়ায় (নিজস্ব ছবি)

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 31, 2022 | 7:21 PM

হাওড়া: উত্তপ্ত জগৎবল্লভপুর। গৃহবধূকে খুন করে কাপড় দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বছর চারেক আগে ওই মহিলার বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অশান্তি করত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এরপর মঙ্গলবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের শংকরহাটির এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব পাড়ার ঘটনা। পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুন করে কাপড় দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। সালমা বেগম নামে বছর পঁচিশের ওই গৃহবধূর বছর চারেক আগে বিয়ে হয় জগৎবল্লভপুর সংকরহাটির বাসিন্দা বাবলু মল্লিকের সঙ্গে। সালমার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য তাঁদের মেয়েকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

অভিযোগ, সোমবার রাত্রিবেলা তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখানে এসে উপস্থিত হয় সালমার বাপের বাড়ির লোকজন। চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, পুলিশের থেকে ওই তিনজনকে ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। থানার মধ্যে ঢুকে পুলিশকে ধাক্কা মারে। জগৎবল্লভপুর থানার মধ্যেই আক্রান্ত হয় পুলিশ।

বাধ্য হয়ে পুলিশ পাল্টা লাঠিপেটা করে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগৎবল্লভপুর থানা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম পর্যায়ে থানার ভিতরে লোকজনদের সরিয়ে দিলেও পরবর্তীকালে বিশাল পুলিশবাহিনী থানা ঘিরে রাখে। যাতে পরবর্তী কালে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। মৃত গৃহবধূর স্বামী সহ শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মৃতের মামা বলেন, ‘ছেলেটা বাইরে কাজ করল। যে খুন হয়েছে আমার ভাগ্নি। মাঝে মধ্যে ওরা ভাগ্নিকে চাপ দিয়ে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসত। একমাস দুমাস থেকে চলে যেত। ইনকামও করত না। এরপর ওরা ওকে খুন করে।’