Murder: সামনে পড়ে মায়ের দেহ, একরত্তি মেয়ে বলল ‘বাবা হাত ধরেছে, দাদা গলা টিপেছে’
Murder: সুলেখা দেবীর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

জগাছা: শিশুকন্যার সামনে মাকে খুনের অভিযোগ। কাঠগড়ায় বাবা-দাদা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগাছা থানার অন্তর্গত ইছাপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক বয়ান দিয়েছে শিশুটি। অভিযোগ, অশান্তির মধ্যে তার বাবা মায়ের হাত চেপে ধরে। দাদা শ্বাসরোধ করে মাকে খুন করে। ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই এলাকাতেই বাড়ি ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র জয়সওয়ালের। তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জিতেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী সুলেখা ও ছেলে শেখর জয়সওয়ালের দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। রাতে সুলেখা দেবীর মেয়ের চিৎকার শুনে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসেন। উত্তেজনার আবহে খবর যায় জগাছা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আটক করা হয় বাবা ও ছেলেকে। বাচ্চা মেয়েটিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর দেওয়া হয় সুলেখা দেবীর বাপের বাড়িতে।
সুলেখা দেবীর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর ক্ষেত্রে ধোঁয়াশা অনেকটাই কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে দ্রুত শিশুকন্যার জবানবন্দিও নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “খবর পেয়ে আমি আসি। অনেকবার ডাকাডাকি করলেও কেউ গেট খোলেনি। তারপর আমি জগাছা থানায় ফোন করি। তারপর পুলিশ আসে। তারপরই তো সবটা পরিষ্কার হয়ে যায়। বাচ্চাটাই জানায় ওর বাবা হাত ধরেছে ওর দাদা গলা টিপে মেরে দিয়েছে। ওদের অনেক দিনের ঝামেলা। বউটাকে খেতে দিত না। এখন কী থেকে কী হল বোঝা গেল না।”
