Howrah: অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে পোকা, খেয়েছে ১৪০ শিশু, চিন্তায় পরিবার

Agitation against Anganwadi centre: যেখানে শতাধিক বাচ্চা পড়াশোনা করে, সেখানে মিড ডে মিলের রান্নায় নজর দেওয়া হয় না কেন? এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা শম্পা নন্দী বলেন, রান্নার বিষয়টি তিনি দেখেন না। এদিনও তাই কী দেওয়া হয়েছে শিশুদের, তিনি দেখেননি। পরে অভিভাবকরা খিচুড়ি ফিরিয়ে আনার পর তিনিও তাতে পোকা দেখতে পেয়েছেন।

Howrah: অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে পোকা, খেয়েছে ১৪০ শিশু, চিন্তায় পরিবার
অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে পোকাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Sep 10, 2025 | 1:38 PM

হাওড়া: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়ি খাচ্ছিল ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা। কিন্তু, সেই খাবারে নজর পড়তেই চমকে উঠলেন অভিভাবকরা। খিচুড়ির মধ্যে পোকা। বাচ্চাদের খাবারে পোকা থাকা নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন অভিভাবকরা। প্রায় ১৪০ জন শিশু প্রত্যেকদিন অঙ্গনওয়াড়ির এই খাবার খায়। কোনও শিশু অসুস্থ হলে তার দায় কে নেবে, এই প্রশ্ন তোলে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি হাওড়ার জগৎবল্লভপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জগন্নাথপুর দিঘিরপাড় এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।

ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ১৩৪ জন শিশু পড়তে আসে। এদিন তাদের জন্য খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। পড়াশোনার পর খিচুড়ি নিয়ে বাড়ি চলে যায় শিশুরা। বাড়িতে শিশুরা ওই খিচুড়ি খাওয়ার সময়ই নজরে পড়ে অভিভাবকদের। তাঁরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, এই খিচুড়ি খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়, তাহলে তার দায় কার? এদিন অঙ্গনওয়াড়ির চালেও দেখা গেল পোকা কিলবিল করছে।

চালে কিলবিল করছে পোকা

ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রাঁধুনি স্বপ্না মালিক দাবি করেন, রান্নার সময় পোকা তাঁর নজরে পড়েনি। তবে অভিভাবকরা খিচুড়ি নিয়ে আসার পর তিনিও পোকা দেখতে পেয়েছেন। চালে পোকা থাকা নিয়ে তাঁর সাফাই, চাল পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্না করেন তিনি।

যেখানে শতাধিক বাচ্চা পড়াশোনা করে, সেখানে মিড ডে মিলের রান্নায় নজর দেওয়া হয় না কেন? এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা শম্পা নন্দী বলেন, রান্নার বিষয়টি তিনি দেখেন না। এদিনও তাই কী দেওয়া হয়েছে শিশুদের, তিনি দেখেননি। পরে অভিভাবকরা খিচুড়ি ফিরিয়ে আনার পর তিনিও তাতে পোকা দেখতে পেয়েছেন। এই খাবার খেয়ে কোনও শিশু অসুস্থ হলে তার দায় কার, এই প্রশ্নে অবশ্য তাঁর যুক্তি, “দায় আমাদেরই হবে।” তাহলে রান্নার সময় কেন ভাল করে সব দেখা হবে না, সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য তাঁদের কাছে নেই।