Anganwadi Center: অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে চাল-ডালে কিলবিল করছে পোকা, সুপারভাইজার বলছেন, ‘আমাকে কেউ জানায়নি’
Anganwadi Center in Chandrakona: ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা বলছেন, এভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। এ নিয়ে প্রশাসনের নানা জায়গাতে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা ২ ব্লক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজার কৃষ্ণা পাইন যদিও বলছেন, তাঁকে কেউ এ নিয়ে কিছু বলেননি।

চন্দ্রকোনা: চন্দ্রকোনায় অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে চাল-ডালে কিলবিল করছে পোকা। বস্তা পড়ে থেকে ডেলাও পাকিয়ে গিয়েছে। তা দিয়েই চলছে রান্না। সেই রান্নাই দেওয়া হচ্ছে শিশু ও প্রসূতিদের। ক্ষোভ ফুঁসে উঠলেন এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকেরা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামগঞ্জ গ্রামের। এখানেই রয়েছে ৬৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মোট ৮২ জন পড়ুয়া ও প্রসূতি মহিলার জন্য খাবার রান্না হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নষ্টে হতে চলা জিনিসপত্র দিয়েই খাবার রান্না চলছে। রান্নার দায়িত্বে থাকা দিদিমণির উপরও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের ঠিকমতো পড়াশোনাও হয় না বলে অভিযোগ।
অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের শিক্ষিকা মৌসুমী প্রামাণিক বলছেন, একেবারে তিন চার মাসের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে চলে যায় সাপ্লায়ার। কিন্তু আমরা ভাল করে ধুয়ে, পরিষ্কার করে তারপরই রান্না করা হয়। একইসঙ্গে তিনি বলছেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই কোনও সহায়িকা বা রাঁধুনি শিক্ষিকা। তাই নিজের টাকা থেকেই রাঁধুনি রেখে কোনওমতে রান্নার কাজ চালান।
যদিও ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা বলছেন, এভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। এ নিয়ে প্রশাসনের নানা জায়গাতে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা ২ ব্লক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজার কৃষ্ণা পাইন যদিও বলছেন, তাঁকে কেউ এ নিয়ে কিছু বলেননি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। সিডিপিও-কে জানিয়ে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
