Bamboo Bridge: রিলস বানানোর চক্করে বন্ধই হয়ে গেল আস্ত ব্রিজ! ‘ক্রিয়েটরদের আসা বন্ধ করুক প্রশাসন’, বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
Purbasthali: ইতিমধ্যেই বাঁশের সেই নির্মাণ খুলে ফেলার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। সকলেই দুষছেন রিলস মেকারদের। তাঁদের একটাই কথা, এই তরুণ-তরুণীদের রিলস বানানোর হিড়িকেই এই অবস্থা।

পূর্বস্থলী: ইউটিউব থেকে ফেসবুক। নতুন যুগের নতুন সেনশন– রিলস! আর সেই রিলস বানানোর চক্করেই পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে গেল আস্ত একখান ব্রিজ। ভাবতে পারছেন? হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। পূর্বস্থলী ও ইদ্রাকপুর গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী ভাগীরথী নদীর একটি অংশে (ছাড়ি গঙ্গা) ছিল এই বাঁশের ব্রিজ। দুই দিকের মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে সুবিধা হয়, যাতে সময় কম লাগে সে কথা মাথায় রেখেই জেলা পরিষদের অনুমতিতে এই বাঁশের ব্রিজ বানানো হয়েছিল। এখনই সেই ব্রিজই বিপজ্জনক বলে জানিয়ে দিল জেলা পরিষদ।
ইতিমধ্যেই বাঁশের সেই নির্মাণ খুলে ফেলার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। সকলেই দুষছেন রিলস মেকারদের। তাঁদের একটাই কথা, এই তরুণ-তরুণীদের রিলস বানানোর হিড়িকেই এই অবস্থা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তৈরি হওয়ার পর থেকেই সকাল বিকাল কনটেন্ট ক্রিযেটারদের দৌরাত্ম্য লেগেই ছিল। তাঁদের লাফালাফিতে ব্রিজের বাঁশ একেবারে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। এখন নিরাপত্তার কথা ভেবেই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। এতেই ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকার মহিলা মেনোকা ঘোষ বলছেন, “এমনিতে তো নৌকার জন্য দেড় থেকে দু’ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বাঁশের ব্রিজ হওয়ায় আমাদের খুবই সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু মোবাইল নিয়ে এমন দাপাদাপি করল যে ব্রিজটাই বন্ধ হয়ে গেল।”
এখন আবার সেই আগের মতো নৌকায় চলছে পারাপার। তবে তার জন্য আবার দীর্ঘ অপেক্ষা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর নিদিষ্ট সংখ্যায় যাত্রী হলে তবেই ছাড়া হচ্ছে নৌকা। এরইমধ্যে আবার নদীর দখল মাঝেমাঝেই নিয়ে ফেলছে কচুরিপানার দল। ফলে তখন আবার নৌকা নিয়ে যাতায়াতে সমস্যা আরও তীব্র হচ্ছে। নৌকা না ছাড়ায় আরও বাড়ছে অপেক্ষা।
