Jalpaiguri: তৃণমূলের স্টিকারে রাস্তায় দাপাচ্ছে ‘নিষিদ্ধ’ টোটো, ‘ছুঁতে পারছে না পুলিশ’, উঠছে অভিযোগ
Jalpaiguri: তবে সেই ছাড়পত্র না পেয়েও যেন কোনও সমস্যাই হচ্ছে না। কারণ, শাসকদলের প্রতীক সেঁটে জলপাইগুড়ির রাজ্য সড়ক থেকে জাতীয় সড়ক, সব জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ টোটো, এমনটাই অভিযোগ।

জলপাইগুড়ি: টোটায় নেই রেজিস্ট্রেশন। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যাও নেই। কারণ, গাড়ির সামনেই লাগানো রয়েছে শাসকদলের প্রতীক। ৩০০ টাকাতেই মিলছে এই প্রতীক। যা নিয়ে নির্দ্বিধায় জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকার রাস্তায় ছুটে বেড়াচ্ছে একাধিক নিষিদ্ধ টোটো। সোমবার শাসকদলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললেন বিজেপির ধূপগুড়ি বিধানসভার কমিটির আহ্বায়ক চন্দন দত্ত।
তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূলের সংগঠিত তোলাবাজি সিস্টেমের উদাহরণ এটা। তৃণমূলের প্রতীক ব্যবহার করেই বেআইনি টোটো চলাচলে ছাড়পত্র দিয়ে চাঁদা তুলে পকেট ভরাচ্ছে ওরা।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম থেকে শহর, ধূপগুড়ির একাধিক এলাকা হয়ে ছুটে চলেছে এই ছাড়পত্রহীন টোটোগুলি। আর প্রতিটি গাড়ির সামনে লাগানো রয়েছে শাসকদলের প্রতীক ঘাসফুলের স্টিকার। একাংশের অভিযোগ, সেই প্রতীকের কারণে পুলিশ যেন তাদের ছুঁয়েই দেখছে না।
কিন্তু কেন ছাড়পত্র মেলেনি এই টোটোগুলিতে? আদালতের নিয়ম অনুযায়ী, টোটো অবৈধ। যে কেউ কিনেই, তা যখন খুশি রাস্তায় নামিয়ে দিতে পারে। এই টোটোর কোনও সরকারি কোনও ট্র্যাকিং কোড নেই। তাই রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কে একমাত্র ই-রিকশা চলার অনুমতি রয়েছে। আদালতের সেই নির্দেশের জন্যই টোটোয় মেলে না কোনও রেজিস্ট্রেশন।
তবে সেই ছাড়পত্র না পেয়েও যেন কোনও সমস্যাই হচ্ছে না। কারণ, শাসকদলের প্রতীক সেঁটে জলপাইগুড়ির রাজ্য সড়ক থেকে জাতীয় সড়ক, সব জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ টোটো, এমনটাই অভিযোগ।
উল্লেখ্য, শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-এর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগগুলিকে নস্যাৎ করেছেন সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তপন দে। তিনি বলেন, ‘সমস্ত জেলা থেকেই ই-রিকশাচালকদের এক ছাতার তলায় আনার জন্য ইউনিয়ন গড়ার দাবি রাজ্য সংগঠনের নেতৃত্বের কাছে জমা হয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা বা সিদ্ধান্ত নেই। কেউ যদি দলের প্রতীক বা ট্রেড ইউনিয়নের নাম ব্যবহার করে কিছু করেন তবে তার দায় একান্তভাবেই তার। আমাদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ এলে সংগঠন দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেবে।’





