
নয়া দিল্লি: তপ্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশের। ভারত-বিরোধী নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের ফুঁসে উঠেছে পড়শি সেই দেশ। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তপ্ত পরিস্থিতি সেখানে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রথম সারির সংবাদ-মাধ্যমের অফিস। এমনকী, একের পর এক ভারত বিরোধী মন্তব্য করছেন কট্টরপন্থীরা। এই অবস্থায় পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেই দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত। সূত্রের খবর ঢাকা, চট্টগ্রাম,খুলনা বিভিন্ন জায়গায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে যে সমস্ত ভারতীয় অফিসাররা রয়েছেন তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দিকে নজর রাখছে নয়া দিল্লি। বস্তুত, যে সময় ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন সে দেশের এনসিপি নেতা, সেই সময়ই বাংলাদেশকে নয়া দিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছিল কোনও রকম উস্কানিমূলক মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে একের এক ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য করেই চলেছে সেখানকার একাংশ নেতা। এমনকী, ভারতের হাইকমিশনেও ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেই নজরই রাখছে দিল্লি। ইতিমধ্যেই বন্ধ ভিসা সেন্টার। পরিস্থিতি আরও বেগতিক হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ করা হতেই পারে।
গতকাল রাতে ভারতীয় হাইকমিশানের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলেছে। কখনও-কখনও সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে (১০.২০ মিনিট) খবর এসেছে, চট্টোগ্রামে ডেপুটি হাই-কমিশনারের বাসভবনের উপর হামলা চালানোর ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখানকার অফিস বিভিন্ন দিক থেকে ঘিরে যাতে ফেলা হয় তার ডাক দেওয়া হয়েছে। তাই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে নয়া দিল্লি। সূত্রের খবর ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা বিভিন্ন জায়গায় ভিসা কেন্দ্র আজও বন্ধ রাখা হতে পারে।
এখানে উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন সে দেশের এনসিপি নেতা হাসনাত। ইনকিলাব মঞ্চের একটি আয়োজিত মিছিলে হাসনাত বলেন, “ভারতের সব বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে প্রয়োজনে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেব। যারা শেখ হাসিনাকে আশ্রয়, প্রশ্রয় দিচ্ছে, অর্থ-প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, তাদের উচিত শিক্ষা দিতে হবে।” এই ধরনের মন্তব্যের পর তৎপর হয় দিল্লি। বাংলাদেশের হাই কমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করা হয়। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত বরদাস্ত করবে না। কিন্তু তারপরও যে ইউনূসের বাংলাদেশের কানে সেই কথা যে পৌঁছয়নি গতকালের ঘটনা তারই প্রমাণ।