চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পদ থেকে ইস্তফা হুমায়ুন কবিরের
মাস তিনেক আগে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কবীর।
হুগলি: চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর জায়গায় চন্দননগরের নতুন পুলিশ কমিশনার হলেন গৌরব শর্মা। জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শুক্রবার ইস্তফা দিয়েছেন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর। তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজনীতিতে নাম লেখাতে চলেছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা?
মাস তিনেক আগে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কবীর। এদিকে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে একাধিক প্রাক্তন পুলিশ অফিসার ও আমলা যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। সেই পথেই কি হাঁটতে চলেছেন সদ্য প্রাক্তন পুলিশ অফিসারও?
আরও পড়ুন: ‘ভাটপাড়া থেকে ভোটে দাঁড়ান, আমার ছেলেকে দিয়ে হারাব’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ অর্জুন সিংয়ের
২০০৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগদান করা এই আইপিএস অফিসারকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বিশেষ পছন্দ করতেন। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে কুখ্যাত “হাত কাটা দিলীপ”কে গ্রেফতার করে প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হন তিনি। তবে সে সময় যে সব পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব আচরণের অভিযোগ তুলত তৃণমূল, তার মধ্য়ে অন্য়তম ছিলেন এই হুমায়ুন কবীর। কিন্তু রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর ছবিটা পাল্টে যায়। ক্রমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এই আইপিএস অফিসার।
হুমায়ুন যখন মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করতেন অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের জেলা সভাপতির মতো আচরণ করছেন এই পুলিশ অফিসার, এমন অভিযোগ করেছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। পরে হুমায়ুন কবীরকে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার করে নিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মঞ্চে উঠছিলেন, তখনই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! হকচকিয়ে গেলেন কেষ্টও
সাম্প্রতিক সময়ে সরোজ গজমীর, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুবন চন্দ্র মণ্ডল, সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন পুলিশ কর্তা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবীরের পদত্যাগকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে জানা যাচ্ছে, আপাতত রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে নেই বলে ঘনিষ্ঠ মহলকে জানিয়েছেন হুমায়ুন কবীর।