মঞ্চে উঠছিলেন, তখনই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! হকচকিয়ে গেলেন কেষ্টও
সভামঞ্চ থেকে তখন সঞ্চালক বলছেন, "আপনারা হুড়োহুড়ি করবেন না। শান্ত হোন। পাশে সরে দাঁড়ান। একটা বিপর্যয় ঘটে গেছে।"
বর্ধমান: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সভায় বিপর্যয়। সভাস্থলের পাশেই নির্মীয়মান বাড়ির ছাদ থেকে মাথায় পড়ল ইট। গুরুতর জখম এক শিশু সহ ৫ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার মঙ্গলকোটের নিগনে সভা ছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। হাটতলার সভাস্থলে তখন থিকথিকে ভিড়। আশেপাশের বহু গ্রাম থেকে মানুষ ভিড় করেছেন কেষ্টকে দেখবেন বলে! সভা চলছিলই। তবে মঞ্চে তখনও ওঠেননি অনুব্রত। অত্যুৎসাহীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আচমকাই ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি।
সভামঞ্চ থেকে তখন সঞ্চালক বলছেন, “আপনারা হুড়োহুড়ি করবেন না। শান্ত হোন। পাশে সরে দাঁড়ান। একটা বিপর্যয় ঘটে গেছে।” তখনও আসল বিষয়টি আঁচ করা যায়নি। জানা যায়, মঞ্চে বাঁ পাশেই একটি বাড়ির সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন কর্মী সমর্থকরা। ওই বাড়িটির দোতলায় নির্মাণের কাজ চলছিল। যদিও এদিন কাজ বন্ধই রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনওভাবে সেখান থেকে ইট পড়ে যায় নীচে।
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক গুরুতর আহত হন। কারোর মাথায় চোট লাগে, কেউ চোখে চোট পান। আহত হয় একটি শিশুও। বাকি কর্মী সমর্থকরাই তখন তাঁদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বেশ কিছু পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে।
কিন্তু কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
প্রত্যক্ষদর্শীরাই বলছেন, আসলে ‘কেষ্ট দা’কে দেখতে মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। তাই লোকে বাড়ির ছাদেও উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই বাড়িটির ছাদেও ভিড় জমিয়েছিলেন অনেকে। যদিও সেখানে বাঁশের ঠেকনো দেওয়া ছিল, ইট রাখা ছিল। কোনও ভাবেই বাঁশের খুঁটিতে গুঁতো লেগে ইট নীচে পড়েছে। আর তাতেই দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: পুরোহিতরা ৮ হাজার আর ইমামরা ৬০ হাজার! ভাতা-বৈষম্য নিয়ে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর
যদিও তারপরও সভাস্থলে ভিড় ছিল। নির্দিষ্ট সময়েই অনুব্রত মণ্ডল সভায় আসেন। বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে অনুব্রত মন্ডল বলেন, “আমরা যদি গা ঝেড়ে দিই বাঁচতে পারবে? পারবে না। যে দলেরই হোক এই ঘটনা ঠিক নয়। আইন আছে।” নিগনে নিহত তৃণমূল কর্মীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারতাম। আমি কথা দিয়ে গেলাম সাজা দেব। যাবজ্জীবন সাজা দেব।”