Dooars: রাতের অন্ধকারে পালাল মালিক, বাংলায় কাজ হারালেন ১,০৭৬ জন

চা শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিক কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই বেতন ও মজুরি বকেয়া রেখে দিয়েছেন। পুজোর বোনাসও এখনও দেওয়া হয়নি। একাধিকবার বকেয়া মজুরি ও প্রাপ্য টাকার দাবিতে মালিকপক্ষের কাছে জানানো হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি

Dooars: রাতের অন্ধকারে পালাল মালিক, বাংলায় কাজ হারালেন ১,০৭৬ জন
বন্ধ চা বাগানImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 13, 2025 | 10:04 PM

বানারহাট: আবারও শ্রমিক আর মালিক অসন্তোষ। বছরের শেষে ফের বন্ধ হয়ে গেল ডুয়ার্সের আরও একটি চা বাগান। শুক্রবার গভীর রাতে বানারহাটের মোগলকাটা চা বাগান ছেড়ে রীতিমতো পালিয়ে যায় মালিকপক্ষ। এর জেরে এক ধাক্কায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ১,০৭৬ জন চা শ্রমিক।

জানা যাচ্ছে, শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতো কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। তখনই দেখেন বাগানে নেই কোনও কর্তৃপক্ষ। এমনকী বাগানের ভিতরে নেই কোনও গাড়িও। বিষয়টি জানাজানি হতেই দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে। এবং শত শত চা শ্রমিক ভিড় জমান বাগানের কারখানার গেটের সামনে। বন্ধ বাগান ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রাক্তন নাগরাকাটা বিধায়ক সুখমইত ওঁরাও এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জন বার্লা। তাঁরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। আন্দোলনকারী এক মহিলা বলেন, “আমাদের বোনাস দেয়নি। এমনকী মাইনে বাকি আছে। এক সপ্তাহ ছেড়ে ছেড়ে টাকা দিচ্ছিল। কোম্পানির সব কথা শুনেছি। তারপরও আমাদের সঙ্গে এমন করল।”

চা শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিক কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই বেতন ও মজুরি বকেয়া রেখে দিয়েছেন। পুজোর বোনাসও এখনও দেওয়া হয়নি। একাধিকবার বকেয়া মজুরি ও প্রাপ্য টাকার দাবিতে মালিকপক্ষের কাছে জানানো হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। অভিযোগ, কোনও রকম পাওনা মেটানো ছাড়াই শুক্রবার রাতে গোপনে বাগান ছেড়ে পালিয়ে যান মালিকপক্ষ। শ্রমিকদের স্পষ্ট দাবি, প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে মালিক কর্তৃপক্ষকে ধরে এনে বাগান চালুর ব্যবস্থা করুক। সমস্ত বকেয়া মজুরি ও বোনাস অবিলম্বে পরিশোধ করাক। নাহলে আরও বড় আন্দোলন করবেন তাঁরা।