Alipurduar: গাড়িতে ছিল ৬৭ জন, স্কুল থেকে ফেরার পথে ভয়ঙ্কর পরিণতি ১২ পড়ুয়ার

Accident in Alipurduar: দুর্ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত বানারহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই গাড়িটির গতি খুব বেশি না থাকায় বড় ক্ষতি হয়নি।

Alipurduar: গাড়িতে ছিল ৬৭ জন, স্কুল থেকে ফেরার পথে ভয়ঙ্কর পরিণতি ১২ পড়ুয়ার
আতঙ্কে অভিভাবকেরা Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 07, 2025 | 9:04 PM

ধূপগুড়ি: ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার কবলে ১২ পড়ুয়া। মাঝ রাস্তায় ফেঁসে গেল তিন তিনটি গাড়ি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ধূপগুড়ি মহকুমার বানারহাট ব্লকের পলাশবাড়ি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল পড়ুয়া বোঝাই একটি গাড়ির সামনে যাচ্ছিল একটি ডাম্পার। ডাম্পারটির সামনে ছিল একটি টোটো। আচমকা টোটোটি বিকল হয়ে যায়। সেটি থমকে যেতেই গতিতে থাকা অবস্থাতেই সজোরে ব্রেক কষে ডাম্পারটি। আর সেই সময়ই আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি স্কুল পড়ুয়াদের গাড়িটি। সোজা গিয়ে ডাম্পারটিতে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের জেরে জখম হয় ১২ পড়ুয়া। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, হলদিবাড়ি এলাকা থেকে চা বাগানের পাতা বহন করার যে গাড়িগুলি চলাচল করে সেগুলির একটিতেই স্কুল ছুটির পর নিউ ডুয়ার্স চা বাগানের পড়ুয়াদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়িটিতে মোট ৬৭ জন ছাত্রছাত্রী ছিল বলে খবর। 

দুর্ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত বানারহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই গাড়িটির গতি খুব বেশি না থাকায় বড় ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে এ ঘটনায় আবার প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে চা বাগান কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে। বাগানের শ্রমিকরা বলছেন, দীর্ঘদিন থেকেই তাঁদের বাড়ির ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে আনার জন্য আলাদা স্কুল বাসের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু, দাবি করলেও কোনও ফল মেলেনি। এখন এ ঘটনার জন্য চা বাগান কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার দিকেই আঙুল তুলছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা জয় টোপ্পো বলেন, “যদি স্কুল বাস থাকতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। আমরা আবার স্কুল বাসের দাবি করব।” আর এক বাসিন্দা অঞ্জলি নায়েক বলছেন, “আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি। এ এটা ছোটোর উপর দিয়ে গেলেও যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। এখন তো বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় করছে।”