ধূপগুড়ি: নদীতে স্নানে নেমে তলিয়ে গেল পাঁচ পড়ুয়া। তবে কোনও ভাবে চারজন বেঁচে ফিরলেও উদ্ধার হল একজনের মৃতদেহ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের কুশশামারি গ্রামের জলঢাকা এলাকায়। মৃত পড়ুয়ার নাম চন্দন রায়। সে দশম শ্রেণিতে পড়ত। বাকি চারজনের মধ্যে দুজন নবম শ্রেণির ও অন্য দশম শ্রেণিতে পড়ে।
জানা গিয়েছে, বুধবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের জলঢাকা নদীতে স্নানে নেমেছিলেন ওই এলাকার পাঁচ পড়ুয়া। সেই সময় নদী পারাপার করতে গিয়ে জলে আটকে যায় তারা। যেহেতু বর্ষাকাল, সেই কারণে নদীতে জলের স্রোত ছিল যথেষ্ঠ বেশি। তাই মনে করা হচ্ছে টাল সামলাতে না পেরেই তলিয়ে গিয়েছে তারা। পরে চারজন কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচলেও একজন তলিয়ে যায়।
রাতভর তল্লাশি করেও খোঁজ মেলে না সেই যুবকের। এরপর বৃহস্পতিবার ভোরবেলা থেকে জলপাইগুড়ি সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা জলঢাকা নদীতে শুরু করে তল্লাশি। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তৃণমূলের বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় ডুবে যাওয়া সেই ছাত্রের মৃতদেহ। ভজন রায় নামে এক পড়ুয়া বলে, “আমরা পাঁচজন স্নানে নেমেছিলাম। ওই দাদা নেমে যায় নদীতে। সেই সময় হঠাৎ করে তলিয়ে গেল বুঝতে পারিনি। অনেকক্ষণ ধরে বাঁচাও-বাঁচাও চিৎকার করছিল। আমরা চেষ্টা করেছিলাম বাঁচাতে। কিন্তু পারিনি।”