Leopard Attack: ডুয়ার্সের জঙ্গলে চিতাবাঘের সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের অসম লড়াই বৃদ্ধার, যে ডার্ক-হর্স, সেই জিতল…
Dooars Leopard Attack: ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির সোনাখালির জঙ্গলে। এই জঙ্গলের পাশেই একটি গ্রামে থাকেন ফতেমা বিবি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের সোনাখালি জঙ্গলে গরু চড়াতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। সেই সময়ই জঙ্গলের আলো আঁধারিতে জ্বলজ্বল করে উঠে দুটো চোখ। লেপার্ডের মুখোমুখি বৃদ্ধা। আর পরক্ষণেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পরে চিতাবাঘ।
ধূপগুড়ি: যমে মানুষে লড়াই! থুড়ি, লেপার্ডে মানুষে লড়াই। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে লড়াই চলল ক্ষুধার্ত চিতাবাঘের সঙ্গে বছর পঁয়ষট্টির এক বৃদ্ধার। এরকম পরিস্থিতিতে সাধারণভাবে জেতার অ্যাডভান্টেজে থাকার কথা চিতাবাঘেরই। আর এই অসম লড়াই ষাট পেরিয়ে যাওয়া বৃদ্ধাকে এখানে কালো ঘোড়াই বলা যায়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে জিতলেন সেই কালো ঘোড়াই। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির সোনাখালির জঙ্গলে।
এই জঙ্গলের পাশেই একটি গ্রামে থাকেন ফতেমা বিবি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের সোনাখালি জঙ্গলে গরু চড়াতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। সেই সময়ই জঙ্গলের আলো আঁধারিতে জ্বলজ্বল করে উঠে দুটো চোখ। লেপার্ডের মুখোমুখি বৃদ্ধা। আর পরক্ষণেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পরে চিতাবাঘ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই। আর এরপর বৃদ্ধার দাবি অনুযায়ী, প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে সেই যমে-মানুষে লড়াই। বৃদ্ধা যখন গরু চরাতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন একটি দা নিয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই চলতে চলতে আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় নাগালের মধ্যে পেয়ে যান সেই দা। আর সঙ্গে সঙ্গে কোনওক্রমে সেই দা দিয়ে এক কোপ বসিয়ে দেন চিতাবাঘের গায়ে।
রক্তাক্ত হওয়ার পর অবশেষে হাল ছাড়ে সেই চিতাবাঘ। জখম হয়ে বৃদ্ধাকে ফেলে পালিয়ে যায় জঙ্গলের ভিতরের দিকে। এদিকে ঘণ্টাখানেকের লড়াইয়ে বৃদ্ধার শরীরে আর বিশেষ জোর ছিল না। এই অসম লড়াইয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন তিনিও, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।। কোনওক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে জঙ্গল লাগোয়া রাস্তায় আশ্রয় নেন বৃদ্ধা ফতেমা বিবি। ওই সময় এক ব্যক্তি বাইকে চেপে জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনিই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
এদিকে গুরুতর জখম নিয়ে ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে যাওয়া হয় ধূপগুড়ি হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃদ্ধা জানাচ্ছেন, ‘হঠাৎই চিতাবাঘটি এসে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার পিঠে ঘাড়ে পেটে আঁচড় দেয়। এরপর আমার হাতে থাকা দা দিয়ে চিতাবাঘটিকে আঘাত করি এবং তখন সেটি পালিয়ে যায়।’