Jalpaiguri: বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় ১০ বছর কেটেছে আঁধারে , Tv9 বাংলার খবরের জেরে আলো জ্বলল তন্ত্র পরিবারে

Jalpaiguri: জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ দফতর লাইন কেটে দেওয়ার পর আর সংযোগ করাতে পারেননি দিন মজুর নিরেন তন্ত্রের পুত্র আপন তন্ত্র। ফলে বাড়ির কুপির আলো জ্বলে।

Jalpaiguri: বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় ১০ বছর কেটেছে আঁধারে , Tv9 বাংলার খবরের জেরে আলো জ্বলল তন্ত্র পরিবারে
রাস্তায় তন্ত্র পরিবারImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2023 | 10:08 AM

জলপাইগুড়ি: প্রায় বছর দশেক আগের ঘটনা। দেড় লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল এসেছিল জলপাইগুড়ি পাহাড় পুর গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা নিরেন তন্ত্রের পরিবারে। সেই বিল মেটাতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয় বিদ্যুৎ দফতর। এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন নিরেনবাবু দাবি পরিবারের। তারপর দশটা বছর কাটলেও বাড়িতে জ্বলেনি আলো। সেই খবর তুলে ধরে TV9 বাংলা। আর তা সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহল। আঁধারে থাকা তন্ত্র পরিবারের ঘরে আলো জ্বালাতে সাহায্যের হিড়িক।

জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ দফতর লাইন কেটে দেওয়ার পর আর সংযোগ করাতে পারেননি দিন মজুর নিরেন তন্ত্রের পুত্র আপন তন্ত্র। ফলে বাড়ির কুপির আলো জ্বলে। আর সেই আলোতে পড়তে না পেরে বাড়ির পাশে থাকা পেট্রোল পাম্পের আলোতে পড়াশোনা করে আপন তন্ত্রের দুই সন্তান। তাদের এই অসহায় অবস্থা জানার পরই শুরু তোড়জোড়।

মঙ্গলবার রাতে অসহায় তন্ত্র পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে জলপাইগুড়ি শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এ দিন, তারা পরিবারটিকে প্রচুর খাদ্যসামগ্রী,বস্ত্র সহ আরও বেশ কিছু সামগ্রী তন্ত্র পরিবারের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি আগামী সাতদিনের মধ্যে ওই পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়।

শুধু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাই নয়, এ দিন রাতে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ করবার জন্য তন্ত্র পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ প্রতিনিধি পাঠিয়ে ওই পরিবারের কী প্রয়োজন তা নিয়ে খোঁজ নেন।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক পাপ্পু শীল বলেন, “এই খবর তুলে ধরার জন্য সংবাদ মাধ্যমকে অশেষ ধন্যবাদ। তাদের জন্যই আজ আমরা এই মর্মান্তিক অবস্থার কথা জানতে পারি। খবরটি দেখার সঙ্গে-সঙ্গে আমরা জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করি। এই পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলাম। আজ খাদ্যসামগ্রী সহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে গেলাম। এরপর আমরা এই পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।”

ইন্ডিয়ান অয়েলের কর্মী শ্যামল কুমার সাহা বলেন,”খবরটি দেখার পর কর্তৃপক্ষ আমাকে এখানে পাঠিয়েছে এদের কী প্রয়োজন তা জানতে। আমি সবকিছু দেখলাম ও শুনলাম। রিপোর্ট পাঠাবো।”

আপন তন্ত্র বলেন, “দীর্ঘ দশ বছর ধরে খুব অসহায় ভাবে দিন কাটিয়েছি। এবার আমাদের অসহায় অবস্থার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মানুষ খবর জানতে পেরে এগিয়ে এসেছে। আজ পুলিশের পক্ষ থেকেও আমার কাছে এসে খোঁজ নিয়ে গিয়েছে। এরজন্য সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ।”