বানারহাট: স্কুলে যাচ্ছিল নাবালিকা। আচমকা তার পথ আটকায় এক ব্যক্তি। তাকে জড়িয়ে ধরে। জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কোনওরকমে সেখান থেকে স্কুলে আসে সে। এমনই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা ব্লকের বানারহাট থানা এলাকায়। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত পোস্ট অফিসের কর্মী।
বানারহাট থানার অন্তর্গত একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। মঙ্গলবার সাইকেলে চেপে স্কুল আসছিল সে। অভিযোগ, স্কুলে আসার সময় তার পথ আটকে দাঁড়ান পোস্ট অফিসে কর্মরত ওই ব্যক্তি। জোর করে সাইকেলের পিছনের ক্যারিয়ারে চেপে বসেন। নাবালিকা ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরেন। ওই ছাত্রী সাইকেল থেকে নেমে প্রতিবাদ জানাতেই তাকে ধরে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ভয় পেয়ে যায় নাবালিকা। কোনওরকমে সে ওই ব্যক্তির হাত থেকে পালিয়ে স্কুলে এসে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠীদের ঘটনাটি জানায়। ঘটনায় সে আতঙ্কিত ও মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। স্কুলের শিক্ষকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন পোস্ট অফিসের ওই কর্মী মদ্যপ অবস্থায় তখনও সেখানেই বসে ছিলেন। তাঁরা বানারহাট থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তিতে। বিগত কয়েক মাস আগে তিনি পোস্ট অফিসের ‘গ্রামীন ডাক সেবক’ বা জিডিএস পদে চাকরি পেয়ে এই এলাকায় এসেছেন। বাড়ি ভাড়া নিয়ে একাই থাকেন। ছাত্রীর পরিবারের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরই পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বুধবার আদালতে তোলা হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডে শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। ধর্ষণ-বিরোধী অপরাজিতা বিল মঙ্গলবারই বিধানসভায় পাশ হয়েছে। এরই মাঝে বানারহাটের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)