ধূপগুড়ি: গত বছরই হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়ায় এক বৃদ্ধার দুঃসাহসিক কাজ দেখেছিল বাংলা। সাপে কামড়ানোর পর সাপ চিনতে না পেরে সেই সাপ নিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। যদিও পরবর্তীতে চিকিৎসার পর সুস্থও হয়ে যান তিনি। এবার কার্যত একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। সাপে কামড়েছে এক মহিলাকে। কিন্তু, সাপ চিনতে না পেরে সাপ নিয়ে সোজা হাসপাতালে হাজির ওই মহিলা এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় ধূপগুড়ি হাসপাতালে। সাপ দেখে ভয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়তেও দেখা যায় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ধূপগুড়ি মাগুরমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গিলান্ডি এলাকায় বাসিন্দা মামনি রায় বাড়ি থেকে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই রাস্তায় সাপের কামড় খান। আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। বিষ যাতে শরীরের দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে তাই তড়িঘড়ি তাঁর পায়ে বাঁধন দেওয়া হয়। যে জায়গায় সাপটি কামড়েছে তার উপরের অংশ শক্ত করে কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। খবর দেওয়া হয় তাঁর স্বামী মানিক রায়কে।
দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ধূপগুড়ি হাসপাতালে। এদিকে যে সাপটি কামড়েছে সেটি আদপে কোন প্রজাতির তা নিয়ে ধন্দ দেখা যায়। সাপটিকে পাকড়াও করেন এলাকার বাসিন্দারা। বস্তাবন্দিও করা হয়। মামনি দেবীর বাড়ির লোকেরাই শেষে বস্তাবন্দি অবস্থায় সাপটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসে হাজির হন। বর্তমানে মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। হাসপাতালের তরফে খবর দেওয়া হয় সর্প বিশারদকে। তবে তিনি আবার জানিয়েছেন সাপটি আসলে নির্বিষ। প্রজাতিতে দাঁড়াস। এ কথা জানার পরেই শেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন পরিবারের সদস্যরা।