Crime: মাঝ রাস্তায় পিছন থেকে হ্যাঁচকা টান স্ত্রীকে, এরপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন স্বামী

Siliguri: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম লক্ষ্মী দে। স্বামী সুজয় দে'র সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল বলে অভিযোগ।

Crime: মাঝ রাস্তায় পিছন থেকে হ্যাঁচকা টান স্ত্রীকে, এরপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন স্বামী
স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল মদ্যপ স্বামীর বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 12:18 AM

শিলিগুড়ি: স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল মদ্যপ স্বামীর বিরুদ্ধে। শিলিগুড়িতে (Siliguri) নিউ জলপাইগুড়ি থানার রামনগরে রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, ভরসন্ধ্যায় মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে খুনে করেন ওই ব্যক্তি। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে সুজয় দে নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম লক্ষ্মী দে। স্বামী সুজয় দে’র সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল বলে অভিযোগ। স্বামী মদ খেয়ে এসে বাড়িতে ঝামেলা করতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রবিবার সেই বিবাদই চরমে ওঠে। এরপরই দাম্পত্য কলহ মুহূর্তে ভয়ঙ্কর আকার নেয়। অভিযোগ, এর পরই মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে ধারাল ছুড়ি দিয়ে কোপ মারেন স্বামী। একাধিক বার লক্ষ্মী দেকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর রক্তে ভাসছিল ঘর।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রেম সরকার বলেন, “আজ আমাদের এখানে কালীপুজোর ভাসান। প্রতিমা বিসর্জন হবে, তাই মণ্ডপের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎই দেখি এই বাড়ির সামনে বহু মানুষের ভিড়। একজন মহিলা এখানে পড়ে আছেন। বলাবলি করছে, ওই মহিলাকে খুন করে এখানে ফেলে রেখেছে। প্রথমে লোকজন ভেবেছিল পারিবারিক ঝামেলা। পরে দেখা যায় রক্তে এলাকা ভেসে যাচ্ছে।”

স্থানীয়রা জানান, এনজেপি ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিতে ধরে নিয়ে যায়। এলাকার লোকজনের দাবি, স্ত্রীকে মেরে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু স্থানীয়রাই হাতেনাতে ধরে ফেলে। আটকে রেখে থানায় জানায়।

লক্ষ্মী দে’র বৌমা তুষ্টু দে বলেন, “আমি শাশুড়ি আর মাসি শাশুড়িকে নিয়ে বাজার থেকে ফিরছিলাম। আমার শ্বশুর একটা মাছের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। উনি আমাদের পিছনে পিছনে এলেন। এসে বউয়ের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। এরপর শাশুড়িকে ঘুষি মারতে শুরু করল। আমি ভাবলাম এমনিই কথা কাটাকাটি। পরে দেখি চাকু দিয়ে মারছেন। ওনাদের ঝগড়া ছিলই। শাশুড়ি লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। ওখানেই থাকতেন। বাড়িতে আসতেন না। ঘরের জিনিসপত্র সব বিক্রি করে দিয়েছেন শ্বশুর। শাশুড়ি বলেছেন, ঘরের জিনিস ফিরিয়ে না আনলে বাড়ি ফিরবেন না। এই নিয়ে ঝামেলা। শ্বশুরের বক্তব্য এ ভাবেই থাকতে হবে। কিছুই উনি আনবেন না।”

এদিন আবারও কাজের বাড়িতেই ফিরে যাচ্ছিলেন লক্ষ্মী। এরপরই সুজয় দে’র সঙ্গে ঝামেলা চরমে ওঠে। পিছন থেকে টেনে ধরে মারধর শুরু করেন। তুষ্টু দে’র কথায়, এ ভাবে যে এত বড় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবেন তা তিনিও ভাবতে পারেননি। চোখের পলকে সমস্তটা ঘটে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Political Clash: উৎসব মিটটে না মিটতেই ফের রাজনৈতিক হিংসা শুরু! বর্ধমানে আহত তিন