জলপাইগুড়ি: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হোক পুরনির্বাচন। এমনটাই দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। স্পষ্টই জানালেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও তাদের নানাভাবে প্রভাবিত করা হয়। তারপরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই নির্বাচন হোক এমনটাই চাইছে পদ্ম শিবির (BJP)।
সুকান্ত এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হোক। যদিও তাতে বিশেষ লাভ হবে না জানি, কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনারা এলেও তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে কোচবিহারের রাজবাড়ি দেখতে অথবা কলকাতায় ভিক্টোরিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে জেলাপুলিশের কথামতো চলে। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাব। দলের কর্মী সমর্থকদের লড়াই করতে নির্দেশ দিয়েছি। যেকোনও পরিস্থিতিতে যেন লড়াই থেকে কেউ সরে না আসেন। ”
যদিও পাল্টা তৃণমূল জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের দাবি, বিজেপি আর কিছুদিনের মধ্যেই হারিয়ে যাবে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হোক বা অন্যকিছু, জয় তৃণমূলেরই হবে।
উপনির্বাচন মিটতেই বঙ্গে পুরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোট করার আবেদন জানিয়ে প্রাথমিক ভাবে কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভায় ভোট করাতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার এমনটাই খবর সূত্রের। আরও জানা গিয়েছে, আগামী মাসেই কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোট সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য। ভোটের সম্ভাব্য দিন হিসেবে ১৯ ডিসেম্বর এবং ভোট গণনার দিন ২২ ডিসেম্বর আপাতত ঠিক করা হয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত হয়নি।
রাজ্যে এখন ১১৪টি পুরসভায় ভোট হওয়া বাকি। প্রতিটি জায়গাতেই প্রশাসকেরা কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, উপনির্বাচন শেষ হলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এরপর আর পুর ভোট নিয়ে দেরী করতে চাইছে না সরকার। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকার ভিত্তিতে বিধানসভা ভোট হয়েছিল, তাকে সামনে রেখে ওয়ার্ড-বিন্যাসের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তবে কোভিড পদ্ধতিতে কীভাবে নির্বাচন হবে তা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। সেক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ভোট করানোর প্রস্তুতিও নিতে পারে রাজ্য।
আরও পড়ুন: Dinhata: ‘গৌরী লঙ্কেশের মতো অবস্থা হবে’, TV9-এর চিত্র সাংবাদিককে হুমকি উদয়ন-ভাইপোর!