BLO-SIR: এত ভারী ব্যাগ বওয়া সম্ভব নয়, টেবিল পেতে বসে পড়েছেন BLO

BLO-SIR: এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, বাড়ি গিয়ে প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে কথা বলে তাকে বুঝিয়ে তারপর এনুমারেশন ফর্ম দিতে হবে। কিন্তু জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভার তিস্তা পারের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সারদাপল্লীর ১৭/১৫৯ নম্বর বুথে ঠিক তার উলটো ছবি দেখা গেল।

BLO-SIR: এত ভারী ব্যাগ বওয়া সম্ভব নয়, টেবিল পেতে বসে পড়েছেন BLO
টেবিল পেতে বসেছেন বিএলওImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 06, 2025 | 11:23 AM

জলপাইগুড়ি: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ হল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনামুরেশন ফর্ম দিতে হবে বিএলও-দের। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জলপাইগুড়ির এক বিএলও-কে দেখা গেল টেবিল পেতে বসে পড়েছেন তিনি। বাড়ি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য যে কিট দেওয়া হয়েছে, সেটা বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

বাড়িতে না গিয়ে টেবিল পেতে ফর্ম ফিল আপ করাচ্ছেন কেন? এক ভোটার বিএলও-কে এই প্রশ্ন করতেই তাঁর সাফ জবাব, “এই জাতীয় বিষয় আমার জানা নেই। তাছাড়া কিট অত্যন্ত ভারী। একার পক্ষে বহন করে বাড়ি বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সবাইকে এখানে ডেকে নিয়েছি।”

এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, বাড়ি গিয়ে প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে কথা বলে তাকে বুঝিয়ে তারপর এনুমারেশন ফর্ম দিতে হবে। কিন্তু জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভার তিস্তা পারের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সারদাপল্লীর ১৭/১৫৯ নম্বর বুথে ঠিক তার উলটো ছবি দেখা গেল। দেখা গেল, টেবিল পেতে বসেছেন এক মহিলা বিএলও। তাঁর নাম কৃষ্ণা রায় কুন্ডু। তাঁর কাছে এসে ফর্ম সই করে নিয়ে যাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় ভোটার স্বপন সরকার। প্রথমে বিএলও তাঁকে বলেন, “এমন নিয়ম আমি জানি না। পরে বলেন কিট অত্যন্ত ভারী। একার পক্ষে বওয়া সম্ভব নয়।” বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর বিডিও-র দফতরের এক আধিকারিককে জানানো হলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ আমার জানা নেই। খোঁজ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার এমন ছবি দেখা গিয়েছে দুর্গাপুরেও। সেখানে বাস স্ট্যান্ডে টেবিল পেতে বসে পড়েছেন এক মহিলা বিএলও। তাঁর দাবি, ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় এভাবে বসে পড়েছেন তিনি।